পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি ফাতিমা ভুট্টো বিয়ে করেছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) করাচিতে তার বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
ফাতিমা ভুট্টোর ভাই জুলফিকার আলী ভুট্টো জুনিয়র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নবদম্পতির একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
ফাতিমার স্বামীর নাম গ্রাহাম (জিবরান) বলে জানানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু এখনও জানানো হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে পরিবারের লোকজন ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। বর-কনে এখনও তাদের বিয়ের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেননি।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে ভুট্টো পরিবারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টিতে ভুট্টো পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ১৯৭৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
১৯৮২ সালে কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন ফাতিমা । তবে শৈশবের একটি বড় সময় সিরিয়ায় অতিবাহিত করেন তিনি। ফাতিমা ভুট্টো ২০০৪ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হন। তার বিষয় ছিল মিডল ইস্টার্ন ল্যাঙ্গুয়েসেজ অ্যান্ড কালচার্স। ২০০৫ সালে লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাউথ এশিয়ান গভার্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিক্স নিয়ে মাস্টার্স করেন।
তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ১৯৯৭ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘হুইসপার্স অব দি ডেসার্ট’। তবে বর্তমানে নন-ফিকশনই বেশি লেখেন।
তার গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সংস অব ব্লাড অ্যান্ড সোর্ড: অ্যা ডটার্স মেমোইর’, ‘দ্য শ্যাডো অব দ্য ক্রিসেন্ট মুন’, ‘দ্য রানওয়েজ’, ‘নিউ কিংস অব দ্য ওয়ার্ল্ড: দ্য রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব ইস্টার্ন পপ কালচার’। শেষ বইটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়।
বই লেখা ছাড়াও ফাতিমা ভুট্টো দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখেন।