দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগে দীর্ঘ ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে মামলা টানছেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। হাজতবাসও করেছেন। পাশাপাশি অনবরত পেয়ে আসছেন হত্যার হুমকি।
সেই মামলায় এখন আদালতের রায় আসা বাকি। তার আগে সম্প্রতি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা নিয়ে প্রথমবার গণমাধ্যমে মুখ খুললেন সালমান খান। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ-ও জানান, বিচারকদের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর যোধপুরে ছবির শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তিনি যোধপুরের কাছে মাথানিয়ার বাওয়াদে সুরজ বারজাতিয়ার ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শুটিং করছিলেন।
সালমান খানের বিরুদ্ধে সেই সময় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য হয় কৃষ্ণসার হরিণ। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষাকর্তাও এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সালমানকে সে বছরই গ্রেফতার করা হয়।
তবে সে সময় জামিনে ছাড়া পেয়ে যান বলিউড টাইগার। এরপর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে রাজস্থান হাইকোর্ট সালমানকে মামলা থেকে খালাস দেন। হাইকোর্ট জানান, সালমানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই। রাজস্থান সরকার এরপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।
সম্প্রতি এক নিউজ পোর্টালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালমান খান বলেন, তিনি সত্যিই জানেন না আদালতের সিদ্ধান্ত কী হবে। তবে যা-ই হোক না কেন, মাথা পেতে নেবেন এবং ভারতের বিচারব্যবস্থার ওপর তার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
তবে সালমান যা-ই বলুন না কেন, তার ওপর থেকে রাগ কমছে না বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার তাকে খুনের হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রকাশ্য সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই জানিয়েছেন, সালমানকে তিনি খুন করবেন।
এমনকি লরেন্স বিষ্ণোই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এর আগেও শার্প শুটার দিয়ে ভাইজানকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে তা ব্যর্থ হয়। সঙ্গে লরেন্সের দাবি, সালমান যদি বিকানারে তাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চান, তবে তাদের আর কোনো রাগ থাকবে না।