যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক পারমাণবিক চুক্তি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ কথা বলেন। খবর সিনহুয়ার।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক পারমাণবিক চুক্তি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
জাখারোভা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এমন কিছু সামরিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যা বৈশ্বিক কৌশলগত স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করে তুলেছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের দেশগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েওল ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ নামের একটি পারমাণবিক চুক্তি সই করার পর দুদিন পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বক্তব্য এলো।
ওই চুক্তির ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপসাগরে মার্কিন পারমাণিক ডুবোজাহাজ মোতায়েন করবে। কোরীয় উপদ্বীপে আগে থেকেই তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন সেখানে মার্কিন ডুবোজাহাজ মোতায়েনের ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়বে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, দেশের সামরিক সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত আর তা পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। আমরা এই সহযোগিতাকে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার হুমকি মোকাবিলা। যা আমাদের দুদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে রাতারাতি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আমরা উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় সামরিক সহযোগিতা ও সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করে আমাদের শক্তি দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি।