আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির। নতুন করে কি দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হবে, না সম্পর্কচ্ছেদ করে লিও পাড়ি জমাবেন নতুন কোনো ঠিকানায়?
২০২১ সালে সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়ার পর বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের ইতি টানেন মেসি। গুঞ্জনের মধ্যেই হুট করে একদিন সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি, জানিয়ে দেন কাতালান শিবির থেকে বিদায় নিচ্ছেন। সেদিন ছিল ৫ আগস্ট। এর ঠিক পাঁচদিন পর জানা যায় মেসির নতুন ক্লাবের নাম, প্রিয় বন্ধু নেইমার ২০১৭ সালে যাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন, সেই পিএসজিতেই নাম লেখান আর্জেন্টাইন তারকা।
মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তি হয় ২০২৩ সালের ৩০ জুন নাগাদ। সে অনুযায়ী ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির বাকি আর মাত্র ২ মাস। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার দোরগোড়ায় এসে মেসির সামনে অপশট দুটি; এক. নতুন করে চুক্তি করা, দুই. পিএসজি ছেড়ে নতুন ঠিকানা বেছে নেয়া। মেসি কোনটা করবেন?
পিএসজিতে খেলছেন এরইমধ্যে তারকাখ্যাতি পাওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে। নতুন চুক্তি করার সময় পিএসজির ওপর নানা শর্ত আরোপ করেছিলেন তিনি। যে কারণে অভিজ্ঞতা ও দারুণ ছন্দে থাকা সত্ত্বেও মেসি যতটুকু সম্মান ও মর্যাদা প্রাপ্য, তা পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় দুই অপশনের মধ্যে মেসি কোনটার দিকে ধাবিত হন, তাই দেখার বিষয়।
মেসির ক্লাব ছাড়ার প্রবল গুঞ্জন আছে। তিনি যেতে পারেন শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনায়- এমনটাও শোনা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। যদিও বার্সেলোনা তাকে দলে ভেড়াতে পারবে কিনা, তা নিয়ে অনেকে সন্দিহান। লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাজ তো বলেই দিয়েছেন, ঋণের কারণে এই মুহূতে বার্সা মেসিকে কিনতে পারবে না।
যুক্তি হিসেবে তেবাজ বলেছিলেন, ‘এখন তারা (বার্সা) মেসিকে সাইন করাতে পারবে না। কিন্ত আশা করব তারা যাতে এটা পারে। হাতে তো এখনও অনেক সময় বাকি। আমরা একটা সহজ পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি। ওরা প্লেয়ার বিক্রি করতে পারে। যদিও এখন ব্যাপারটা কঠিন। বার্সা মেসিকে ফেরানোর জন্য সবকিছু করতে পারবে বলেই বিশ্বাস করি। কিন্তু তার জন্য আমরা নিয়মে কোনো পরিবর্তন করতে পারব না।’