বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৫ মে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত এ নতুন তারিখ ধার্য করেন। মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন এদিন ধার্য করেন বিচারক রাবেয়া বেগম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
মামলার এজাহারে নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করেই চলে আসেন। মূল্য চাইলে পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।
২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর পরীমনি ও তার সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে ডাক দেন। তাদের (পরীমনিদের) সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। এসময় একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল দেয়ার জন্য চাপ দেন।
এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি নাসিরকে তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি গ্লাস ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাত পান।
পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করেন নাসির উদ্দিন।