আইপিএলের চলতি মৌসুমে খেলছেন দুজন বাংলাদেশি। উইকেটকিপার-ব্যাটার লিটন দাস আছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে, আর দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোয়াডে আছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। স্কোয়াডে থাকলেও দুই বাংলাদেশির কেউই খুব একটা সুযোগ পাচ্ছেন না একাদশে। চলতি আসরে মুস্তাফিজ দুই ম্যাচে মাঠে নামলেও কলকাতার হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন লিটন।
কলকাতার স্কোয়াড দেখেই ধারণা করা হচ্ছিল নিয়মিত সুযোগ হয়ত মিলবে না লিটন দাসের। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। রহমানুল্লাহ গুরবাজের একের পর এক বাজে পারফরম্যান্সেও কপাল খোলেনি বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটারের। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে একটা ম্যাচে সুযোগ পেলেও বাকি ম্যাচে লিটনের সময় কেটেছে বেঞ্চে বসেই। যা নিয়ে হতাশ টাইগার সমর্থকরা।
লিটন সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ বিসিবি পরিচালক ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন, আরও একটা সুযোগ লিটনের প্রাপ্য।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সুজন। আইপিএলের প্রসঙ্গ এলে অবধারিতভাবে উঠে আসে লিটনের সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টি। তিনি বলেন, ‘কষ্টের জায়গা তো অবশ্যই। লিটন যে মানের খেলোয়াড় সে জায়গা থেকে এটা ওর জন্যও চাপের ম্যাচ ছিল। যত বড় খেলোয়াড়ই হোক আইপিএলে তার প্রথম ম্যাচ। চাপের ব্যাপার তো ছিলই। আশা করেছিলাম আবার সুযোগ পাবে। আমরা জানি সুযোগ পেলে সে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে, সে ওই মানের খেলোয়াড়ই।’
মাত্র এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ভালো করতে পারেননি লিটন। চাপের বিষয়টি পুরোপুরি ফুটে উঠেছে তার খেলায়। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন যেমন, উইকেটের পেছনে মিস করেছেন সহজ সুযোগ। তারপরও লিটনের সুযোগ না পাওয়াটা পোড়াচ্ছে সুজনকে।
তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ বলেই কি না বা অন্য কোনো কারণ কি না সেটা আমি জানি না। কম্বিনেশনের ব্যাপারও থাকতে পারে। এখন যে ছেলেটা ওপেন করছে, কিপিং করছে ওদের লোকাল। হয়তো এ কারণে একজন বিদেশি বেশি নিয়ে নামতে পারছে তারা। আশা করি লিটন আবার সুযোগ পাবে এবং নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। কিন্তু কষ্টের জায়গাতো অবশ্যই। লিটন বসে আছে দেখতে ভালো লাগে না সত্যি কথা।’