ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হাইভোল্টেজ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে, জিততে হবে দুই দলকেই। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১টায়।
একটা ম্যাচে জিততে হবে দুই দলকেই। কারণ, লক্ষ্যটা যে অভিন্ন। শিরোপার দৌড়ে নেই কেউ, কিন্তু থাকতে হবে সেরা চারে। না হলে যে মিস হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রেন।
মানচেস্টার ইউনাইটেডের ফর্মটাও যে দুর্দান্ত কিছু, তা কিন্তু নয়। টানা কয়েক ম্যাচে হেরে সব টুর্নামেন্টেই কিছুটা পর্যুদস্ত রেড ডেভিলরা। যদিও শেষ ম্যাচে এফএ কাপের সেমিতে ব্রাইটনকে হারিয়েছে তারা। তবে সেটার জন্যও যেতে হয়েছিল টাইব্রেকার পর্যন্ত। কিন্তু এখন আর এসব নিয়ে ভাবছেন না এরিক টেন হ্যাগ। তার চিন্তায় শুধু লিগের পয়েন্ট টেবিল।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হ্যাগ বলেন, ‘টটেনহ্যাম শেষ ম্যাচে যেভাবে হেরেছে সেটা দুর্ঘটনা। ওই ম্যাচ দিয়ে তাদের বিচার করলে ভুল করবেন। আমরা তাদের সমীহের চোখেই দেখছি। ছেলেদের ফর্মটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তবে আশাবাদী আমরা শেষ ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রাখব। কেইনকে নিয়ে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা আছে, তবে সেটা এখানে আমি বলব না। তার মতো ফুবটবলার প্রতিপক্ষে থাকলে, ম্যাচ সবসময়ই কঠিন।’
টটেনহ্যাম অবশ্য আছে আলাদা এক যন্ত্রণা নিয়ে। শেষ ম্যাচে নিউক্যাসলের কাছে আধা ডজন গোল হজম করে আত্মবিশ্বাস শব্দটা উচ্চারণ করার সাহসও পাচ্ছে না তারা। কোচ বরখাস্ত হয়ে এসেছেন নতুন মানুষ, কিন্তু দলকে চাঙা করতে হিমশিম খাওয়ার উপক্রম অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ম্যাসনের।
তবে পুরনোকে মনে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাকে বাধাগ্রস্ত করতে চান না নতুন বস। তার পরিষ্কার বার্তা, অতীত ঝেড়ে ফেলে নামতে হবে ঘরের মাঠে।
টটেনহ্যাম হটস্পারের কোচ রায়ান ম্যাসন বলেন, ‘আমি জানি, সবাই আপনারা নিউক্যাসল ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমার এ বিষয়ে একটুও আগ্রহ নেই। আমি সামনের দিকে তাকাতে চাই। এখনো মৌসুমের অনেকটা বাকি। আমাদের টার্গেট চারের মধ্যে থেকে শেষ করা। পেছনে কি হয়েছে সেটা ভাবতে থাকলে, আমি আগাতে পারব না। প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যানইউ খুবই শক্তিশালী। তবে তারাও খুব ভালো ছন্দে নেই, এটা হয়তো আমার জন্য ইতিবাচক।’
মুখোমুখি দেখার লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৬৯ ম্যাচের দেখায় রেড ডেভিলদের জয় ৯০ ম্যাচে। স্পাররা জিতেছে ৩৯টিতে। আর ড্র হয়েছে ৪০ ম্যাচ।