অধিকৃত বাখমুত শহরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে তাদের সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে যোদ্ধাদের কাছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ নেই। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন।
এদিকে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের জন্য ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ক্রিস্টোফার ক্যাভোলি।
তিনি বলেন, আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখেছি,পাল্টা আক্রমণ ইউক্রেনীয়রা ভাল অবস্থানে রয়েছে। সম্ভাব্য আক্রমণ নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
গত ১৪ মাস ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযানের ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কসহ বেশ কয়েকটা অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই মূহূর্তে দেশটির পূর্বাঞ্চলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতে ব্যাপক লড়াই চলছে।
ইতোমধ্যে শহরটির ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রুশ বাহিনীর নেতৃত্বাধীন ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠী। তবে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কোনঠাসা ইউক্রেনীয় বাহিনী।
শহরটির পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় মাটির নিচের বাঙ্কারে ও আবাসিক এলাকার বেজমেন্টে ঘাঁটি গেড়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
বেশ কিছু দিন ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ চালাবে বলে আসছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা।
তবে করে এই পাল্টা আক্রমণ শুরু হবে তা সম্পর্কে নিশ্চিত করে ইউক্রেনীয় বা পশ্চিমারা কিছু বলছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এমন সামরিক পদক্ষেপের জন্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এখনও পায়নি।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ অনিবার্য। অধিকৃত বাখমুত শহরে সুপ্রশিক্ষিত সেনা ইউনিট পাঠাচ্ছে কিয়েভ।
আগামী মে মাসের শুরুর দিকেই হামলা চালানো হতে পারে জানিয়ে ওয়াগনার প্রধান আরও বলেন, ‘আমরাও যেকোনো মূল্যে এগিয়ে যাব। ইউক্রেনীয় বাহিনীকে মিশে মারা হবে। তাদের পাল্টা আক্রমণ ভেস্তে দেয়া হবে।’