বড়সড় ধাক্কাই খেলেন কংগ্রেসেরে সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। মোদি উপনাম নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে দায়ের করা মামলায় দণ্ড স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুরাটের দায়রা জজ আদালত। এর অর্থ হলো রাহুল গান্ধী এখনই তার লোকসভার সদস্যপদ ফেরত পাচ্ছেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর, রাহুল গান্ধী আদালতে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন। জবাবে আদালত জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী আদালতের সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করেছেন এবং তার এমপি হওয়ার সুবিধার অপপ্রয়োগ করেছেন।
১৩ এপ্রিল মোদি উপনাম নিয়ে মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত রাখার আবেদনের শুনানি শেষ হয়। দিনভর শুনানি শেষে বিচারপতি আর পি মুগীরা বলেন, ২০ এপ্রিল তিনি এ মামলার রায় শোনাবেন।
গুজরাটের সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ২৩ মার্চ মানহানির মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সাজা দেন। এর পরপরই তার লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হয়।
সে সময় রাহুলের পক্ষে আদালতে শুনানি অংশগ্রহণ করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আর এস চিমা। শুনানিতে চিমা বলেন, ‘আইন অনুযায়ী মানহানির মামলা তিনিই করতে পারেন, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত। এ ক্ষেত্রে যিনি মামলা করেছেন, তার কোনো এখতিয়ারই নেই।’
চিমা আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধীর ভাষণ বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হয়েছে। জবরদস্তি মানহানিকর প্রতিপন্নের চেষ্টা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জোরালো সমালোচনার জন্য জবরদস্তি মানহানির মামলা করা হয়েছে। ওই রায় কঠোর ও অন্যায়।’
এর আগে, ২০১৯ সালে কেরালায় লোকসভা নির্বাচনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপনাম ‘মোদি’ নিয়ে কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘সব চোরের নামের শেষে কেন মোদি?’ রাহুলের সেই মন্তব্যের পর বিজেপির বিধায়ক এবং গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি রাহুলে বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন।