সেই ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় পা দিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ওই একটা ক্লাবেই পার করে দিয়েছেন। বয়সভিত্তিক সব দলে খেলার পর মূল দলে খেলেছেন ১৬ বছর। এরপর হুট করেই একদিন বিচ্ছেদ, বার্সা ছাড়লেন মেসি।
নিজের দেশ কিংবা নিজের বাড়ির চেয়েও বেশি সময় বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন মেসি। এখানেই বাড়ি বানিয়ে পরিবারসহ থাকতেও শুরু করেছিলেন। এমনকি বার্সার আর্থিক দুরবস্থার সময় বেতন কমিয়ে ক্লাবের সাথে থাকতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে সম্ভব হয়নি তখন।
বার্সার থেকে বিদায়ের পর প্যারিসে পাড়ি জমান মেসি। ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন পিএসজির হয়ে দুই বছর কাটিয়ে দিলেও শহর এবং ক্লাবটিকে এখনও মেনে নিতে পারেননি তারকা ফুটবলার। তাই তো চুক্তি নবায়নে এতো জটিল সব সমীকরণ।
মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তি শেষ এই মৌসুমে। নবায়নের দুই মাস থাকলেও তোরজোর নেই কোনো পক্ষের। অন্যদিকে, জোর গুঞ্জন উঠেছে, পুরনো ঠিকানা বার্সেলোনায় যাচ্ছেন মেসি। মাসখানেক ধরে চলতে থাকা এই গুঞ্জনে ঘি ঢেলেছেন বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। বিভিন্ন সময় নিজের বক্তব্যে মেসিকে ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তবে এবার গুঞ্জনের পালে লেগেছে ঝোড়ো হাওয়া। বার্সেলোনার অভ্যন্তরীণ খবর জানিয়ে খ্যাতি পাওয়া সাংবাদিক আদ্রিয়ান সাঞ্চেজ নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘মাস কুউই পেলাতস’-এ দাবি করেছেন, বার্সেলোনায় সন্তানদের পুরনো স্কুলে আবারো তাদেরকে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেসির পরিবার।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথোকথনে ছিলাম। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য কয়েকটা সূত্র চেক করে আমরা জানাচ্ছি, মেসির পরিবার বাচ্চাদের গায়ের স্কুলে ভর্তির জন্য আগাম আবেদন করে রেখেছে।
মেসির বাচ্চাদের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা সবকিছুই বার্সেলোনায়। পড়াশুনায় হাতখড়ি এবং তাদের শৈশবের বন্ধুরাও এখানে। তাই প্যারিসের স্কুলে মানিয়ে নিতে বাচ্চাদের কতোটা কষ্ট হয়েছিল সেটা আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন মেসি। এবার মিলছে সেই কষ্ট থেকে মুক্তি।
মেসির বাচ্চাদের বার্সায় পড়ার বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা অনেকটা নিশ্চিত হয়েই বলা যায় বার্সাতেই ফিরছেন মেসি।