অনাবাদি জমিতে ফসল ফলিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন মাগুরার মহম্মদপুরের চর অঞ্চলের অর্ধশতাধিক কৃষক। সরকারি সহযোগিতায় কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় ১০০ একর জমিতে ধান, ভুট্টা, বাদামসহ নানা ফসল উৎপাদন করেছেন তারা।
জানা গেছে, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নোহাটা, রুইজানি, চরঝামা, ভোলানাথপুর, চর পাচুড়িয়াসহ মধুমতি নদীর চর এলাকার খাস ও অনাবাদি পতিত জমি পড়ে ছিল প্রায় দুই যুগ ধরে। সম্প্রতি, ‘একটু জমিও অনাবাদি থাকবে না’ -প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। খাস ও অনাবাদি জমি উদ্ধার ও চিহ্নিত করার পর কৃষক পর্যায়ে জমিগুলোকে লিজ দেয়া হয়। জেলায় মোট ৮১ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমিতে নিয়মিত চাষাবাদ করেন কৃষকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এই ১০০ একর জমি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির গুণগতমান বিবেচনা করে ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করছেন কৃষকরা। পরিচর্যার দুই মাস পর এখন পরিণত অবস্থায় ফসলগুলো। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা তাদের।
কৃষকরা জানান, যে জমিতে আগে কোনো ফসল হতো না, দুই যুগ ধরে অনাবাদি ছিল। সেখানে এখন ধান, গম ও সবজিসহ সব ধরনের আবাদ হচ্ছে।
এই ফসল ঘরে তুলতে পারলে এ অঞ্চল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে দাবি কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এই পতিত জমিগুলো আমরা চাষের আওতায় এনেছি। এটা একটা চমক। এখানে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সারসহ সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পতিত জমির ফসলগুলো ভালো আছে।
মাগুরার মহম্মদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা সরকারের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে।