যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণ সীমা আরও ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। এই প্রস্তাব পাশ হলে দেশটির সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণ সীমা বেড়ে দাঁড়াবে ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সামনে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তার উত্থাপিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেট খুব বেশি না বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
ম্যাককার্থির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ এবং সামরিক ব্যয় ২০২২ সালের সমান রাখার কথা বলা হয়েছে। এরপর থেকে প্রতিবছর আগের বাজেটের চেয়ে মাত্র ১ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তবে তার প্রস্তাবে দেশটির পেনশন এবং স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি।
ম্যাককার্থির প্রস্তাবে জো বাইডেনের সবুজ জ্বালানি খাতে ভর্তুকি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলারে শিক্ষার্থী ঋণ প্রকল্পটি বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব উৎস থেকে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের উত্তোলন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাট সরকার রিপাবলিকান স্পিকারের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। তবে ম্যাককার্থি এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে ভেবেই দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার অগ্রিম প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন।
ম্যাককার্থি বলেছেন, তার প্রস্তাব গৃহীত হলে তা আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় সাড়ে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার কমিয়ে দেবে। তবে তারপরও এটি বাজেট ঘাটতি দূর করার জন্য যথেষ্ট হবে না এবং এই ১০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ২০ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহণ করতে হতে পারে।