দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হলো। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুর সার্ভিস লেনে মোটরসাইকেল চলাচল হয়। মধ্যরাত থেকে সেতুর প্রবেশপথে মোটরসাইকেলের সারি দীর্ঘ হতে থাকে। এতে অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের চাপে প্রথম দিনেই হিমশিম খেতে হয়েছে টোল কর্তৃপক্ষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাওয়া টোল প্লাজা থেকে অভিমুখের সড়কজুড়ে রয়েছে হাজারো মোটরসাইকেলের উপস্থিতি। গভীর রাত থেকে সেতুতে পারাপারের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে টোলপ্লাজার দিকে সড়কে অবস্থান নেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। সেতুর উত্তর থানা মোড় থেকে সারিবদ্ধভাবে টোলপ্লাজায় পৌঁছে নির্ধারিত টোল দিয়ে সেতুতে উঠতে পারছে মোটরসাইকেল আরোহীরা। ডেডিকেটেড লেনসহ মাওয়া টোল প্লাজার ২টি বুথ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টোল।
নির্দিষ্ট সময়ের ৫ মিনিট আগেই চালু হওয়া বাইক সেতুর বাম পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে প্রায় ১১ মিনিটে অতিক্রম করে ৯ দশমিক আট তিন কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। তারা কর্তৃপক্ষের সব শর্ত মেনে নিয়ে সেতুর আলাদা লেনে স্বাচ্ছন্দ্যে সেতু অতিক্রম করছে।
মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথম প্রথম টোল প্লাজা অতিক্রম করে সোহাগ হোসেনে নামে এক যুবক। তিনি বলেন, রাত ২টা থেকে লাইনে অপেক্ষা করেছি। দীর্ঘদিন পর মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।
তবে বেশির ভাগ বাইকার সেহরির পর লাইনে জড়ো হন। অনেক স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাইকে বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ করতে। সবার চোখেমুখেই আনন্দ ছাপ। তারা সেতুতে বাইক চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী জানান, বাইকের চাপ বেশি থাকায় মাওয়া টোল প্লাজার দুটি বুথে টোল আদায় করা হয়। চার লেন সড়কপথ চালুর পরও দুই পাশে ২ দশমিক ৩০ মিটার করে দুই পাশে সার্ভিস লেনেই বাই চলছে। তাই অন্যান্য যানবাহন চলাচলে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। প্রথম আড়াই ঘণ্টায় প্রায় ৩ হাজার বাইক পদ্মা সেতু পার হয়েছে।
গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হলে বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহতের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে।