যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে তদন্তের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। একটি চাইল্ড কেয়ার কোম্পানিতে তার স্ত্রীর অংশীদারিত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। সুনাক ওই কোম্পানিতে তার স্ত্রীর অংশীদারিত্বের বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদও হারাতে হতে পারে সুনাককে।
ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই মানতে পারতেন না ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধিদের একাংশ। এবার সমালোচনার নতুন হাতিয়ার পেয়েছেন তারা। স্ত্রীর ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তদন্তের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পার্লামেন্টের ‘কমিশনার ফর স্ট্যান্ডার্ডস’ গত ১৩ এপ্রিল থেকে এই তদন্ত শুরু করেছে। একটি চাইল্ড কেয়ার কোম্পানিতে সুনাকের স্ত্রীর অংশীদারিত্ব নিয়েই মূলত এই তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, সুনাক ওই কোম্পানিতে তার স্ত্রীর অংশীদারিত্বের কথা ঠিকমতো ঘোষণা করেছিলেন কিনা এবং দেশটির সরকারের ঘোষিত নতুন বাজেট নীতিতে তার স্ত্রী ব্যবসায়িক কোনো সুবিধা পাচ্ছেন কি না, এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলো সুনাকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে ব্যবসায় সুবিধা পাইয়ে দিতে একটি নতুন বাজেট নীতি প্রণয়ন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত মার্চের বাজেটে চাইল্ড কেয়ারের জন্য তহবিল সংক্রান্ত যে নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে উপকৃত হতে পারে সুনাকের স্ত্রীর কোম্পানি।
এ বিষয়ে ঋষি সুনাকের মুখপাত্র বলেছেন, তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোম্পানিতে সুনাকের স্ত্রীর অংশীদারিত্বের বিষয়টি নিয়ে স্বচ্ছতা অবলম্বন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত বছর অক্টোবরেই সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা বজায় রেখে নেতৃত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ঋষি সুনাক। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে কেবল ক্ষমা চাইলেই হবে না, পদও হারাতে হতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে।