ইতালিতে ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন একটি আইন। দেশটির প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের ক্ষতি হলে গুনতে হতে পারে ১০ থেকে ৬০ হাজার ইউরো জরিমানা। বিশ্লেষকদের ধারণা এতে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন দর্শনার্থীরা।
পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহাসিক স্থাপত্যে সমৃদ্ধ দেশ ইতালি। প্রায় তিন হাজার বছরের পুরানো ও বিরল অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন রয়েছে দেশটিতে। এসবের আকর্ষণে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে ছয় কোটি পর্যটক ভিড় করেন ইতালিতে।
একদিকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়, তার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ সমাবেশের কারণে এসব ঐতিহাসিক স্থাপত্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মূল্যবান এসব সম্পদ বাঁচাতে সংসদে একটি বিশেষ আইন পাস করে ইতালির সরকার। এতে বলা হয়, দেশটির পুরাতন ঐতিহাসিক স্থাপত্যের কোন রকম ক্ষতি সাধনের চেষ্টা কিংবা ছোট- বড় কোনো ক্ষতি করলেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক সর্বনিম্ন ১০ হাজার ইউরো থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার ইউরোর জরিমানা করা হবে।
সরকারের নেয়া এমন কঠোর পদক্ষেপটি বিপদজনক হলেও ঐতিহাসিক স্থাপত্য রক্ষার স্বার্থে একে স্বাগত জানান ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সরকারের নেয়া এমন পদক্ষেপের কারণে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া বিদেশি পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা প্রবাসীরা। তাই এসকল স্থানে ভ্রমণের সময় বাংলাদেশি প্রবাসী পর্যটকদের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ইতালির বড় বড় সব শহরে হাজার হাজার বছরের পুরানো ঐতিহাসিক স্থাপত্য শিল্প রয়েছে। রাজধানী রোম, ফ্লোরেন্স, ভেনিস, মিলান, তুরিন, ন্যাপলস ও ভেরনাতে অনেক স্থাপত্য শিল্পের অবস্থান। তাই এইসব শহর ভ্রমণে, আগামীতে সবার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।