আগে থেকেই অনুমেয় ছিল অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। অবশেষে ফুটবলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা থেকে এসেছে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা। যুবাদের বিশ্ব আসর আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে মেসিদের দেশ।
এবারের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ইন্দোনেশিয়া। তবে ইসরাইলের অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে দেশটিতে তৈরি হয় অস্থিরতা। মূলত ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বড় দ্বীপ বালি বিশ্বকাপে ইসরাইলের ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায়। বালির গভর্নর সাফ জানিয়ে দেন সেখানে ইসরাইলের প্রবেশ কঠোর হাতে দমন করবেন তারা। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা কেড়ে নেয় ফিফা।
এরপর আসরটি আয়োজনে বেশ কিছু দেশ আগ্রহ প্রকাশ করলেও সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও এগিয়ে রেখেছিল লাতিন আমেরিকার দেশটিকে। এবার আসল চূড়ান্ত ঘোষণা।
এক বিবৃতিতে সোমবার (১৭ এপ্রিল) ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানান, ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে এ বছরের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল বিশ্বের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ভবিষ্যতের সুপারস্টারদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিয়েছে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জানান, আমি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এবং বিশেষ করে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ক্লাদিও তাপিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সেই সঙ্গে সরকারি কর্তৃপক্ষকেও, এত অল্প সময়ের নোটিশে এ দুর্দান্ত টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য।
২৪ দল নিয়ে আগামী ২০ মে শুরু হবে অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপ। এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাদ পড়েছিল আর্জেন্টিনার যুবারা। কিন্তু আয়োজক হওয়ায় তারা সুযোগ পাচ্ছে আসরে অংশগ্রহণ করার। অন্যদিকে আয়োজক থেকে বাদ পড়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আর্জেন্টিনা ছাড়াও এ আসরে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে উরুগুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সেনেগাল, ইতালি, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, নাইজেরিয়া, উজবেকিস্তান, জাপান, ইরাক, হন্ডুরাস, ফিজি, গুয়াতেমালা, ডমিনিক রিপাবলিক, গাম্বিয়া, ইসরাইল, স্লোভাকিয়া ও তিউনিসিয়া। আসরের পর্দা নামবে ১১ জুন।