তুরস্কের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নিজের দীর্ঘ শাসনামলে আরও একবার পরীক্ষার মুখোমুখি। সেই পরীক্ষাটা হলো আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তবে জয়-পরাজয়ের এ খেলায় শেষ হাসি এরদোয়ানই হাসবেন, এমনটাই আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।
আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। আর মাত্র এক মাসেরও কম সময় বাকি। ভোটারদের মন জয়ে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন একে পার্টির নেতা এরদোয়ান।
গত দুই দশক ধরে তুরস্কের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরদোয়ান। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নিশ্চিত করতে লড়ছেন তিনি। তবে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সম্প্রতি ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচনে উৎরানো তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাছাড়া এবার তার বিরুদ্ধে শক্ত কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী লড়ছেন। যার মধ্যে রয়েছে প্রভাবশালী নেতা ‘তুরস্কের গান্ধী’ খ্যাত কামাল কিলিচদারোগলু। তবে জনমত জরিপে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এরদোয়ান।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদন মতে, গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে একটি জরিপ করে আরেদা নামে একটি জরিপ সংস্থা। ১০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন ওই জরিপে।
জরিপে দেখা গেছে, এরদোয়ানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৫০.৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলুর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩.১ শতাংশ মানুষ।
নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালে সেক্ষেত্রে এরদায়ানই এগিয়ে থাকবেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। প্রায় ৫২.৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, এরদোয়ানকেই ভোট দেবেন তারা। দ্বিতীয় দফায় ভোট বাড়বে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলুরও। ৪৭.৪ শতাংশ উত্তরদাতা তাকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একে পার্টি) জরিপে ৪০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কামাল কিলিচদারোগলুর রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) পক্ষে পড়েছে ২৫.৫ শতাংশ ভোট।
আর নির্বাচনে যে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এইচডিপি) কিংমেকার হিসাবে দেখা হচ্ছে, জরিপে তার পক্ষে ভোট পড়েছে ১০.৩ শতাংশ। যদিও এর প্রার্থীরা দল দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার ঝুঁকির কারণে আসন্ন নির্বাচনে গ্রিন লেফট পার্টি (ওয়াইএসপি) নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।