উত্তর প্রদেশে পুলিশ পাহারার মধ্যেই সাবেক এমপিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে ভারতে। উত্তর প্রদেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে সাবেক এমপি আতিক আহমেদকে অন্তত ৯টি গুলি করা হয়েছিল। তার মাথায় একটি এবং বুক ও পিঠে আটটি গুলি লাগে। আর তার ভাই আশরাফ আহমেদের গায়ে লেগেছে পাঁচটি গুলি। ময়নাতদন্ত করেছে পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল। আলোচিত ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
অপহরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১৯ সালে জেল হয় আতিক আহমেদের। এর পাশাপাশি রাজুর আইনজীবী উমেশ পালকে খুনের ঘটনায়ও অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে তাদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের সামনে তারা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। সে সময় ভিড়ের মধ্যে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে থাকা বন্দুকধারীরা দুই ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। পরে তিন বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) আতিক আহমেদের ছেলেও গুলিতে নিহত হন।
এলাহাবাদের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া আতিক আহমেদ স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও অনেক সম্পদের মালিক হন। এলাহাবাদ থেকে ১৯৮৯ সাল থেকে পাঁচ দফায় বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে কারাগারেই কাটিয়েছেন দুই দশকের বেশি সময়। কারাগার থেকেই তিনি উত্তর প্রদেশের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। অন্তত ১০০টি অপরাধমূলক মামলায় তার নাম জড়িয়েছিল।