রাজধানীর নিউ মার্কেটের পাশের নিউ সুপার মার্কেটে আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া শাখার প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান সিকদার এ তথ্য জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওয়াহিদুল ইসলামকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মো. শাহজাহান সিকদার বলেন, তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা কোষ) বাবুল চক্রবর্তী, পলাশী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার, সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা। আর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন জোন-১ এর উপসহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান।
তদন্ত কমিটিকে তদন্তকাজের জন্য পাঁচ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভালো বিক্রির আশায় শনিবার (১৫ এপ্রিল) যখন সেহরি খেয়ে নিশ্চিন্ত ঘুমে ব্যবসায়ীরা, ঠিক তখনই ঘুমন্ত নগরীতে হানা দেয় আগুন। এতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় নিউ সুপার মার্কেটের সব কাপড়ের দোকান।
আগুনের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুরু করেন আগুন নেভানোর কাজ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুন দানবীয় রূপ নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় এক পর্যায়ে কিছুটা হার মানে আগুন। তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় অনেক কিছু।
ভয়াবহ আগুন নেভাতে শুধু ফায়ার সার্ভিসই নয়, যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরাও।
শনিবার মধ্যরাতে সুযোগ পেয়ে নিউ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় প্রবেশ করেন ব্যবসায়ীরা। পুড়ে যাওয়া মালামালের মধ্যে অনেকেই খুঁজে ফেরেন বেঁচে থাকার আশা। রাতভর চলে অবশিষ্ট মালামাল নিরাপদ গন্তব্যে নেয়ার কাজ। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
খুঁজে খুঁজে পানি দিয়ে আগুন নেভান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে বেগ পেতে হয় তাদের। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মার্কেটটিতে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আগুনে নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার দোকানের কয়েক হাজার মালিক ও কর্মচারী।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউমার্কেট সংলগ্ন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।