ক্রেমলিনের সমালোচক ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাশিয়ার আদালত।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) মস্কোর একটি আদালত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ও সামরিক বাহিনীকে হেয় করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করে।
এক বিবৃতিতে কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, বিচারের ফলাফলের ভিত্তিতে ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে ২৫ বছরে কারাদণ্ডের চূড়ান্ত সাজা প্রদান করা হবে। প্রায় এক বছর আগে কারা-মুর্জাকে আটক করা হয়েছিল।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন পুতিন। এরপর এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে দেশ দুইটির সংঘাত।
ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি ২০২২ সালের ১৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছিলেন। কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় তদন্তকারী দল তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে।
ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর রাশিয়া নতুন একটি আইন করে। এ আইনে সেনাবাহিনী নিয়ে তথাকথিত ‘ভুল তথ্য’ ছড়ালে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়।
৪১ বছর বয়সী রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা কারা-মুর্জা তিন সন্তানের জনক। রাশিয়ার নাগরিকত্ব ছাড়াও তার ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে।
){kind=link}