লিগ ওয়ানে টানা দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখার পর গত ম্যাচে নিসের বিপক্ষে জয় পায়ত প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। শনিবার (১৫ এপ্রিল) লেন্সের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের শিষ্যরা। গোলের দেখা পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি। এই গোলে আরও একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি।
পার্ক দে প্রিন্সেসে সফরকারী লেন্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া লেন্সের বিপক্ষে গোলগুলো করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি ও ভিতিনিয়া। লেন্সের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ফ্রাঙ্কোওস্কি।
লিগ ওয়ানে মুখোমুখি হয়েছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুইদল। তাই ধারণা করা হচ্ছিল লড়াই হবে জমজমাট। ম্যাচের শুরুতে আভাসও মেলে তেমন। কিন্তু ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আবদুল সামেদ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর আর পাল্লা দিয়ে লড়তে পারেনি লেন্স।
৩১ মিনিটের সময় কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে লিড পায় পিএসজি। ভিতিনিয়ার পাসে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে জালে জড়ায়।
এর ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিতিনিয়া। মেসি ছোট করে কর্নারে বল দেন নুনও মেন্ডেসকে । পর্তুগিজ ফুলব্যাকের পাসে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে গোলপোস্ট কাঁপান তার জাতীয় দলের সতীর্থ ভিতিনিয়া।
ঠিক তিন মিনিট পর স্কোরকার্ডে নাম লেখান মেসি। বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুঁকে পড়েন তিনি। সতীর্থের ফিরতি পাসে গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এই গোলে রেকর্ডবুকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশে বসলেন মেসি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এতদিন ধরে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে একাই ছিলেন রোনালদো। এই গোলে তার পাশে জায়গা করে নিলেন মেসিও। দুজনেরই গোলসংখ্যা ৪৯৫টি। গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি একার করে নেওয়াটা এখন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ীর জন্য স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি পিএসজি। উল্টো ৬০ মিনিটে ফ্রাঙ্কোভস্কির গোলে ব্যবধান কমায় লেন্স। পিএসজির বক্সে ফাবিয়ান রুইজের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। স্পটকিকে গোল করেন তিনি।
এই জয়ে ৩১ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে গেল তারা।