ইকুয়েডরের একটি কারাগারে ভয়াবহ সহিংসতায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির গুয়াকিল শহরের একটি কারাগারে দুটি অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার দেশটির অন্যতম বিপজ্জনক গুয়াকিল শহরের লা পেনিতেনসিয়ারিয়া নামে পরিচিত ওই কারাগারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে ইকুয়েডরের কারাগারবিষয়ক সংস্থা এসএনএআই জানিয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলছে, ইকুয়েডর ২০২১ সাল থেকে কারাগারের দাঙ্গায় জর্জরিত। এসব দাঙ্গা-সহিংসতার যার ফলে শত শত বন্দির মৃত্যু হয়েছে। সরকার অবশ্য এ সহিংসতা ও প্রাণহানির কারণ হিসেবে লড়াইরত মাদক চক্রগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষকে দায়ী করেছে।
এসএনএআই সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসিকিউটর অফিস এবং পুলিশ মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য কারাগারে রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
অবশ্য ইকুয়েডরের কারাগারে সহিংসতার কারণ হিসেবে অপরাধীদের শাস্তি ব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলাকে গত বছর দায়ী করেছিল জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।
অন্যদিকে ইকুয়েডরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো। অবশ্য পেশায় সাবেক ব্যাংকার রক্ষণশীল এই নেতা দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের শুনানির মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ। মাদক, বিশেষ করে কোকেনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ এবং তাদের দ্বন্দ্বের কারণেই দেশটির কারাগারগুলো দিন দিন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।
এছাড়া এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচারের রুট নিয়ে কারাগারে বন্দি সন্ত্রাসীদের মধ্যেও বিরোধ কাজ করে থাকে। এ কারণে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।