সরকারের বিচারবিভাগ সংস্কারের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি এখনো বিক্ষোভ চলছে ইসরাইলে। কোনোভাবেই থামছেই না জনরোষ। শনিবারও (১৫ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী তেল আবিরের রাস্তা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যতদূর চোখ যায় কেবল মানুষ আর মানুষ। এ যেন এক জনস্রোত। সবার হাতে পতাকা, নানা ধরনের ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড। ব্যানারের দুই পাশে কট্টর ডানপন্থি নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছবি। মাঝখানে লেখা ‘ক্রাইম মিনিস্টার’।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় জড়ো হন হাজার হাজার আন্দোলনকারী। এসময় সরকারকে কেন্দ্র করে নানা স্লোগান দেন তারা। এক পর্যায়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তারা।
জনগনের তোপের মুখে পরিকল্পনা পুরোপুরি বাতিল না করলেও আপাতত স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এদিকে ভূখণ্ডটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের এ উদ্যোগ ইসরাইলে বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে। যা ইসরাইলের অর্থনীতিতে আঘাত হানতে পারে। এ বিষয়ে প্রাক্তন এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনতে পারে।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু জানান, ইসরাইলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপকারীদের জন্য এ সংস্কার অত্যন্ত প্রয়োজন।
গত ২৯ ডিসেম্বর ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কট্টরপন্থী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেন তিনি। নতুন সংশোধনীতে, সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্টকে। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ।