ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন।
একইসঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও তার আটকে থাকা তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন জমা দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্তরাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। পরে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুই দফায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও তাতে সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কোনো ধারা উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি প্রদান এবং তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেন, আবেদনটি হাতে পাওয়ার পর সেটি একাডেমিক শাখায় পাঠিয়েছি। এটি আইন প্রশাসকের মতামতের জন্য পাঠানো হবে। তার মতামত নিয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, আমাকে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার কোনো কারণ নোটিশে উল্লেখ করা হয়নি। যদি আমি দোষীও হই, পরীক্ষা তো এ ঘটনার আগেই শেষ হয়েছে, তা হলে রেজাল্ট কেন আটকে থাকবে?
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ড. কামাল উদ্দীন বলেন, ফল স্থগিতের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ভালো জানে। আমরা রেজাল্ট সাবমিট করার সময় কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে দিয়েছিলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে (অন্তরা) সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হলো।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রবিউল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাকে (অন্তরা) অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ফল স্থগিত করা হয়েছে। কখন পরীক্ষা হয়েছে সেটা মুখ্য বিষয় নয়।