ম্যাচের আগ থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, রিয়ালের মাঠে পাত্তাই পাবে না চেলসি। শুরুতে একটু চমক দেখালেও ১০ মিনিটের পর থেকে ম্যাচ এগোল যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, সেভাবেই।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে চেলসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। করিম বেনজেমার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মার্কো আসেনসিওর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। দলের দুই গোলেই অ্যাসিস্ট এসেছে ব্রাজিলিয়ান তারকার পা থেকে। আর তাতে চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে এক পা দিয়ে রাখল কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল চেলসির। প্রতিপক্ষের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল প্রিমিয়ার লিগের দলটি। তবে কোর্তোয়ার বাধায় জালের দেখা পাওয়া হয়নি। চতুর্থ মিনিটে আবারও চেলসির আক্রমণ, এবার মিলিতাও হন বাধা।
রক্ষণ ছেড়ে আক্রমণে উঠতে বড়জোর দশ মিনিট লেগেছে রিয়ালের। এরপরই শুরু ভিনিসিয়াস-বেনজেমার আক্রমণ। ১২তম মিনিটে বেনজেমার জোরালো শট ফিরিয়ে দেন কেপা।
তবে লিড পেতে খুব দেরি করেনি রিয়াল। ২২ তম মিনিটে বেনজেমার দুর্দান্ত গোলে লিড পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। ভিনিসিয়াসের বাড়ানো দুর্দান্ত বল ট্যাপ করে জালে জড়ান রিয়াল অধিনায়ক।
গোল খাওয়ার পরের মিনিটেই আক্রমণে আসে চেলসি। তবে কোর্তোয়ার বাধায় এ যাত্রাও রক্ষা হয় স্বাগতিকদের। এরপর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় দুদলই বেশকিছু আক্রমণ করলেও জালের দেখা পায়নি কেউই। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে পঞ্চম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লুকা মদ্রিচ। ৫৯তম মিনিটে অনেক বড় ধাক্কা খায় চেলসি। রদ্রিগোকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বেন চিলওয়েল, ১০ জনের দলের পরিনত হয় চেলসি।
৭১তম মিনিটে রদ্রিগোকে তুলে আসেনসিওকে নামায় রিয়াল। মাঠে নামার তিন মিনিটের মাথায় দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এই গোলেও অ্যাসিস্ট ভিনিসিয়াসের।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বেনজেমা। তাদের প্রথম প্রচেষ্টা গোলরক্ষক কোনোমতে ফেরানোর পর ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে আট গজ দূর থেকে হেডে বাইরে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
দুই গোলের জয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা জোরাল হলেও রিয়ালের সামনে স্বস্তির সুযোগ নেই। আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগে তাদের খেলতে হবে চেলসির মাঠে।