মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আনার সময় এক রোহিঙ্গা তরুণী ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি জালনোটের রমরমা ব্যবসাও করতেন ওই তরুণী।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতাররা হলেন–টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খানকার ডেইল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা (রোহিঙ্গা) ও তার ভাই নাছির উদ্দিন পিন্টু (২৯)। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৯৫ হাজারের বেশি ইয়াবা, ৮৬ হাজার জালনোট ও মাদক বিক্রির নগদ তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, টেকনাফ পৌর এলাকার খানকার ডেইল এলাকায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে দেশব্যাপী ইয়াবা সরবরাহকারী রোহিঙ্গা তরুণী কানিজ ফাতেমার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনি ও তার অন্যতম সহযোগী নাছির উদ্দিন পিন্টুকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়। তবে পালিয়ে যান অপর তিন সহযোগী একই এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৭), মতুল হোছনের ছেলে আবদুল আজিজ (৩১) ও আজিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ (২৫)।
গ্রেফতারের পর ফাতেমা ও পিন্টুর স্বীকারোক্তি মতে, তাদের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ৬৭০টি ইয়াবা, ৮৬ হাজার জালনোট ও ইয়াবা বিক্রির মাধ্যমে আয় করা তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক জানান, মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান দেশে আনার অন্যতম প্রধান কুশীলব রোহিঙ্গা তরুণী কানিজ ফাতেমা ও তার স্বামী জয়নাল আবেদীন। ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি তারা জালনোটের রমরমা ব্যবসাও পরিচালনা করেন। দীর্ঘদিন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও সুকৌশলী ফাতেমা বরাবরই ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু ফাতেমা, পিন্টুসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে ইয়াবার পাইকারি কেনাবেচার উদ্দেশ্যে জড়ো হলে র্যাব সেখানে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় অন্য তিনজন র্যাবের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে দৌড়ে পালিয়ে যান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কানিজ ফাতেমা ও পিন্টু ইয়াবা ও জালনোটের কারবারের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। আর গ্রেফতার ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে। পরে গ্রেফতার দুজনকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়।