বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের নির্যাতন, গুম আর খুনে পুরো দেশ বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। সরকার দেশে নতুন করে রাজনৈতিক হত্যা, নির্যাতন প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘ঈদ উপহার’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার হত্যা, গুম, খুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা করছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য এভাবে গুম করে দেয়ার প্রথাটা বাংলাদেশের মানুষ আগে কখনো জানত না। এটি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনও এ রকম কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনটাই এ রকম। তারা একদিকে সন্ত্রাস আর অন্যদিকে দুর্নীতি করে। এ দুটোর মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে।
বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এভাবে গুম, খুনের শিকার হয়ে, নির্যাতিত হয়ে আর মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে না। এবার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে জনগণ। বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সরকার গণতন্ত্রকামী মানুষকে আক্রমণ করছে, নির্যাতন করছে, যোগ করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে একদিকে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ দাম বাড়ানোর ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আবার সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কৃষকের কষ্ট হবে কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে তা মেনে নিতে হবে।
এ উন্নয়নকে শাসকগোষ্ঠীর উন্নয়ন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা টাকা পাচার করছে বিদেশে, অথচ সাধারণ মানুষ দু-বেলা আহার জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাত সদস্যকে শাস্তি না দিয়ে উল্টো প্রমোশন দেয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।