মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ক্যাপিটালসের ১৭২ রানের জবাবে শেষ বলে গিয়ে জিতেছে রোহিত শর্মার দল। হারের পরও দিল্লির অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্বসেরা অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
দিল্লির জার্সিতে মুস্তাফিজের আসরের প্রথম ম্যাচটিই ছিল মুম্বাইয়ের বিপক্ষে। শুরুর দিকে ভালো বল করলেও ১৯তম ওভারে ২ ছক্কা হজম করেন ফিজ। তাতে দিল্লি জয় থেকে অনেকটা দূরে সরে যায়। তারপরও কাটার মাস্টারের প্রশংসা করলেন তার দলের অধিনায়ক। ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে অজি তারকা বলেন, ‘সবাই খুব ভালো করেছে। এনরিচ নর্টজে বিশ্বসেরা বোলার, মুস্তাফিজও। আমাদের জন্য টিম ডেভিড বিপদস্বরূপ ছিল।’
ওয়ার্নার যোগ করেন, ‘শেষ তিন ম্যাচে আমাদের কিছু পজিটিভ দিক ছিল। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলা উচিত হয়নি। অক্ষর দারুণ ব্যাট করেছে। ওর আরও উপরের দিকে খেলা উচিত।’
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পায় মুম্বাই। প্রথম উইকেটজুটিতে ৭১ রান তোলে তারা। এ সময় ৩১ রান করে আউট হন ইশান কিশান। মুম্বাইয়ের দলীয় ১৩৯ রানে ২ উইকেট পড়ে। দুটি উইকেটই নেন মুকেশ কুমার। ৪১ রানে তিলক বার্মা ও শূন্য রানে সূর্যকুমার যাদব প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১৭তম ওভার করতে আসেন টাইগার পেসার ফিজ। শুরুতেই ৪ হজম করলেও পরের দুটি বলই ডট দেন তিনি। তৃতীয় বলে রোহিতের উইকেট তুলে নেন কাটার মাস্টার। ফিজের ওয়াইড লেংথের বলে উইকেটকিপার অভিষেক পুড়েলকে ক্যাচ দেন মুম্বাই অধিনায়ক। ৪৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৬৫ রান করেন তিনি। পরের ওভারে এনরিচ নর্কিয়া ৬ রান খরচ করেন। কিন্তু ফিজ ১৯তম ওভারে ১৫ রান খরচ করলে ম্যাচে ফিরে মুম্বাই।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের ৫ রান দরকার ছিল। প্রথম তিন বলে নর্কিয়া ২টি ডট দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। এরমধ্যে দ্বিতীয় বলে টিম ডেভিডের ক্যাচ ছেড়ে দেন মুকেশ কুমার। ওভারের পঞ্চম বলে রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করে দিল্লি। ফলে শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার ছিল রোহিত শর্মাদের। ডেভিড সোজা ব্যাট চালিয়ে সেই রান তুলে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ডেভিড ১৩ ও ক্যামেরুন গ্রিন ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে মুস্তাফিজদের দিল্লি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। প্যাটেলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার মার। এছাড়া ওপেনার ও অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ৪৭ বল থেকে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন। মুম্বাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন জেসন বেহরেনডর্ফ ও পীযূষ চাওলা।