Homeআন্তর্জাতিকবত্রিশ বছরে শতাধিক বিয়ে করে বিশ্ব রেকর্ড!

বত্রিশ বছরে শতাধিক বিয়ে করে বিশ্ব রেকর্ড!

আপনি কি জানেন, বিশ্বে শতাধিক বিয়ে করা ব্যক্তিটি কে? যিনি কিনা শতাধিক বিয়ে করলেও একজনকেও তালাক দেননি কিংবা তার কোনো স্ত্রীও তাকে তালাক দেয়নি। ১৯৪৯ সাল থেকে শুরুর ১৯৮১ সালের মধ্যে ৩২ বছরে শতাধিক বিয়ে করে গিনেস রেকর্ডের পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন জিওভান্নি ভিগলিতো বা ফ্রেড জিপ।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জিওভান্নি ভিগলিতোর শতাধিক বিয়ের বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে টুইটারে। মজার ব্যাপার হলো, ভিগলিতোর তার আসল নাম নয়। সর্বশেষ বিয়ের সময় ওই ব্যক্তি তার নাম হিসেবে ভিগলিতো লিখিয়েছিলেন।

ওই ব্যক্তির আসল নাম ফ্রেড জিপ। ১৯৩৬ সালের ৩ এপ্রিল নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে তিনি যখন ৫৩ বছর বয়সে ধরা পড়েন তখন দাবি করেছিলেন, তার আসল নাম নিকোলাই পেরুসকভ এবং তার জন্মস্থান ইতালির সিসিলির সিরাকোসাতে। তবে আদালতে আইনজীবীদের জেরার মুখে ফ্রেড জিপ তার আসল নাম পরিচয় প্রকাশ করতে বাধ্য হন।  

গিনেস রেকর্ডের দেয়া তথ্যানুসারে, ১৯৪৯ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ফ্রেড জিপ ১০৪টি বা ১০৫টি বিয়ে করেছেন। তার কোনো স্ত্রীই একে অপরকে চিনতেন না। এমনকি তারা জিপ সম্পর্কেও খুব একটা ভালো করে জানতেন না। ফ্রেড জিপ যুক্তরাষ্ট্রের ২৭টি ভিন্ন অঙ্গরাজ্য এবং বিশ্বের ১৪টি দেশে বিয়ে করেছেন এবং প্রতিবার বিয়ের সময় তিনি ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেছেন।

মজার ব্যাপার হলো, ফ্রেড তার অধিকাংশ স্ত্রীর সঙ্গেই পরিচিত হয়েছেন ফুটপাতের বাজারগুলোতে। এবং প্রথম দেখাতেই তিনি তাদের প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। এরপর তড়িঘড়ি করে বিয়ের আয়োজন করা হতো। কিছুদিন পর ফ্রেড নতুন বউয়ের টাকাকড়ি, গয়না এবং মালপত্র নিয়ে উধাও হয়ে যেতেন।  

তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের শ্যারন ক্লার্ককে বিয়ে করার পর ধরা খেয়ে যান তিনি। ইন্ডিয়ানার একটি খোলা বাজারে ফ্রেড পরিচিত হন শ্যারন ক্লার্কের সঙ্গে। শ্যারন বাজারটির একটি দোকানের ম্যানেজার। শ্যারনকে বিয়ে করার পর তার সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যান ফ্রেড। কিন্তু শ্যারনও নাছোড়বান্দা। শেষ দেখেই ছেড়েছেন তিনি। ১৯৮১ সালের ২৮ ডিসেম্বর শ্যারন ফ্লোরিডায় শনাক্ত করেন ফ্রেডকে। পরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  
পরে ১৯৮৩ সালে ফ্রেডের বিচার শুরু হয়। বিচারে তাকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডলার অর্থ দণ্ড দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। অবশ্য তাকে পুরো সাজা খাটতে হয়নি। তার আগেই তিনি ৬১ বছর বয়সে অ্যারিজোনা স্টেট কারাগারে মারা যান ১৯৯১ সালে।

সর্বশেষ খবর