তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা স্তিমিত হয়নি এখনো। তার আগেই আবারও চীনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ান প্রণালির কাছে সামরিক মহড়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের এ যৌথ মহড়া বেইজিংকে আরও তাতিয়ে দেবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই’-নামের এই বাৎসরিক মহড়ায় দুই দেশের প্রায় ১৭ হাজার ৬০০ সেনা অংশ নেবে। মহড়ায় তাজা গোলা ব্যবহার করা হবে বলেও জানা গেছে। এছাড়া মহড়ায় জাহাজ ডুবানোর কাজে ব্যবহৃত রকেটের সক্ষমতাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। যৌথ এ মহড়া চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া চালিয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগেই। উত্তর কোরিয়ার বারবার সেই মহড়াকে তাদের দেশে হামলার প্রস্তুতি বলে উল্লেখ করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বলেছে, ওয়াশিংটন ও সিউল এ অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এদিকে সোমবারই (১০ এপ্রিল) চীন তাইওয়ান প্রণালিতে তাইওয়ানকে ঘিরে তিনদিনের সামরিক মহড়া শেষ করেছে চীন। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, মহড়া সফল হয়েছে। তার ঠিক একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে যৌথ সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয়া হলো।
এদিকে, তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে সেনারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে চীনের সেনাবাহিনী। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাইলে তাইওয়ানের যেকোনো ধরনের স্বাধীনতা প্রচেষ্টা ত্যাগ করতে হবে স্পষ্ট জানিয়েছে বেইজিং।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা যদি তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই তাইওয়ানের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্নতাবাদের যেকোনো ধরনের বিরোধিতা করতে হবে।’
অপরদিকে, মহড়ার শেষ দিন তাইওয়ান ঘিরে চীনের ৫৯টি সামরিক উড়োজাহাজ, ১১টি যুদ্ধজাহাজ ও শানডং রণতরী মহড়া চালিয়েছে বলে দাবি করেছে তাইপে। যুদ্ধবিমান থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
চীনের সামরিক মহড়ার শেষ দিন দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করেছে। এক বিবৃতিতে ইডেন প্রশাসন জানায়, ‘মুক্তভাবে চলাচলের স্বাধীনতা’ নামের এক অভিযানের আওতায় জাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে। মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতিকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং।