ইন্টার মিলান ১২ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে। একটা সময় ইউরোপের ফুটবলে রাজত্ব করেছে তারা। তবে জৌলুস হারায়নি নেরাজ্জুরিদের। নামে ওভাবে এখনো অনেকের কাছেই সমীহ জাগানো নাম ইন্টার। সিরি আ’য় এবার শিরোপার রেস থেকে পথ হারিয়েছে ইনজাঘির দল। ২৯ ম্যাচ শেষে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আছে তারা। তবে জায়গামতো ঠিকই আছে ইন্টার। শীর্ষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকা।
প্রথম পর্বে পর্তুগিজ ক্লাবটিকে হারিয়ে সেমির পথে এগিয়ে থাকতে চায় ইন্টার মিলান। ম্যাচের আগে অবশ্য বেনফিকার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছ ইন্টার। টানা দুই ড্রয়ের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে এসেছে নেরাজ্জুরিরা। এমনকি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ আট ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় আছে ইন্টারের। তবে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বটা ভালোই বোঝেন ইনজাঘি। তাই এ মঞ্চে জ্বলে উঠবে দল আশা কোচের।
ইন্টার মিলান কোচ সিমোনে ইনজাঘি বলেন, ‘আমি দলগত সাফল্যে বিশ্বাসী। বেনফিকা শক্ত প্রতিপক্ষ। তবে, আমরা ওদের খেলাগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি। ওদের দুর্বলতাও জানা আছে আমাদের। সেটা খুঁজে বের করেছি। মাঠে এখন দলগত চেষ্টা ম্যাচ জিততে হবে।’
২০১০ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছিলো ইন্টার মিলান। মোট তিনবার এ আসরের শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের সুখস্মৃতি আছে নেরাজ্জুরিদের। ম্যাচের আগে ছোটখাটো কিছু ইনজুরি ছাড়া বড় সমস্যা নেই ইন্টারে।
প্রতিপক্ষ বেনফিকা এ মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছে। লিগ শিরোপা প্রায় নিশ্চিত তাদের। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে রীতিমত প্রতিপক্ষকে শাসন করেছে তারা। ৬ ম্যাচে চার জয় দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নিজ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে এসেছিল তারা। এরমধ্যে য়্যুভেন্তাস ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের মতো প্রতিপক্ষ নাকানি-চুবানি খেয়েছে তাদের কাছে। নক-আউট পর্বেতো ক্লাব ব্রুগা বিধ্বস্ত হয়েছিলো তাদের কাছে। সে ধারাবাহিকতা ইন্টারের বিপক্ষেও ধরে রাখার লক্ষ্য রজারের দলের।
১৯৯০ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বেনফিকা। ম্যাচের আগে ইনজুরি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় দলের কোচ। গনসালো গুইদেস, ড্র্যাক্সলার, মিহাইলো রিসটিচ খেলতে পারবেন। নিষেধাজ্ঞা আছে নিকোলাস ওতামেন্দির। দু’দলের এখন পর্যন্ত চার বারের দেখায় অবশ্য তিন জয় নিয়ে পরিসংখ্যানে বেনফিকার চেয়ে এগিয়ে আছে ইন্টার মিলান।