সিনেমার প্লেব্যাক জগতের শীর্ষে রয়েছে গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের নাম। গান গেয়ে আয় তার কোটি কোটি টাকা। কিন্তু জনপ্রিয় এ সিঙ্গারকে দেখা যায় সাধারণ জীবনযাপন করতে। তাহলে উপার্জিত অর্থ দিয়ে কী করেন তিনি?
তারকা জগতের চাকচিক্য কিংবা অহংকার কোনোটাই স্পর্শ করতে পারেনি গায়ক অরিজিৎকে। অথচ তার সম্পত্তির পরিমাণের এতটুকু কমতি নেই।
দেশ-বিদেশের সিনেমার গান আর শো করে অরিজিতের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫৫ কোটি রুপি। একেকটি গানের জন্য তার পারিশ্রমিক ১৫ থেকে ২৫ লাখ রুপি।
অথচ ছেলেকে ভালো কোনো স্কুলে পড়ান না তিনি। নিজের জন্মস্থান ভারতের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে এককালে যে স্কুলে নিজে পড়েছিলেন, সেই ছোট স্কুলটিতেই ভর্তি করেছেন ছেলেকে।
এতদিন গাড়ি কেনেননি। নিজের ম্যানেজারের চাপে সম্প্রতি একটি সুলভ মূল্যের গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু এত টাকা থাকার পরও কেন এ দৈন্য দশায় অভ্যস্ত অরিজিৎ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের বরাতে জানা যায়, উপার্জিত টাকার সামান্য দিয়েই নিজ আর পরিবারের খরচ চালান এ সুপারস্টার। বাকি টাকা তিনি খরচ করেন বিলাসবহুল জীবনযাপনে নয়, বরং সমাজের কল্যাণে।
নিজে যে স্কুলে পড়েছিলেন সেই জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দির স্কুলের উন্নতিতে কাজ করছেন তিনি। স্কুলটিকে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থাসম্পন্ন করতে নিয়েছেন সভাপতির দায়িত্ব।
এ ছাড়াও নিজ উদ্যোগে অরিজিৎ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও খুলেছেন। ভবিষ্যতে নিজ গ্রামে সবার জন্য হাসপাতাল করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে এই গুণী শিল্পীর। দুস্থ শিশুদের হার্টের চিকিৎসা কেন্দ্র চালুসহ নানা সামাজিক উদ্যোগ নিতে প্রায়ই দেখা যায় তাকে। রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি দুস্থ ও দরিদ্রদের অর্থসাহায্যও করেন তিনি।
ওই গ্রামের শিশুদের বিনা মূল্যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা আর গান শেখানোর ব্যবস্থাও করতে চান এ গায়ক। অরিজিতের জীবন দর্শন হলো, নিজের স্বার্থ নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নতিই একজন প্রকৃত মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত।