Homeখেলামেসি-রোনালদোদের স্বাক্ষরিত জার্সি বিক্রি করে কোটিপতি

মেসি-রোনালদোদের স্বাক্ষরিত জার্সি বিক্রি করে কোটিপতি

ইংল্যান্ডের উস্টারশায়ার থেকে উঠে আসা পিটার জনসন ক্রীড়াবিদদের স্বাক্ষরিত জার্সি কিংবা স্মারকচিহ্ন সংগ্রহ করে পরে তা বিক্রি করেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, স্টিভ ওয়াহ থেকে শুরু করে প্রায় সব নামকরা ক্রীড়াবিদদেরই স্বাক্ষরিত জার্সি কিংবা স্মারকচিহ্ন রয়েছে তার কাছে। এসব বিক্রি করে এখন তিনি কোটিপতি।

মাত্র বছর চারেক আগেও ১৩ লাখ টাকা দেনা ছিল পিটার জনসনের। তবে সব টাকা পরিশোধ করে এখন তিনি কোটিপতি। এটি আমাদের কথা নয়, জনসন নিজেই এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জনসন শুনিয়েছে, তার এসব স্মারক কিংবা জার্সি সংগ্রহের গল্প। জনসন বলেন, ‘একবারে ছোটবেলা থেকেই আমি পত্রিকা বিক্রি বাদ দিয়ে খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফ ও জার্সি সংগ্রহ করতে শুরু করি। তখন থেকেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরছি। ফর্মুলা ওয়ান দেখতে এশিয়ায় গিয়েছিলাম, রাগবি বিশ্বকাপ দেখতে জাপানে, ম্যানচেস্টার সিটির প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির সফরেও ছিলাম। এগুলো করতে গিয়ে একসময় ১৩ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। এখন আমি কোটিপতি। মাত্র সাড়ে ৪ বছরেই।’

জনসন তার প্রথম স্বাক্ষর করা জার্সিটি পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিভ ওয়াহ থেকে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। এরপর একে একে সংগ্রহ করেন রোনালদো, কাকা, মেসি, সালাহ, মানে, স্টোকসসহ আরও অনেকের স্বাক্ষরিত জার্সি।

সেই সাক্ষাৎকারে জনসন শুনিয়েছেন মেসি ও রোনালদোর স্বাক্ষর পাওয়ার গল্পও। জনসন বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে আমি হোটেল থেকে রোনালদোর স্বাক্ষর পাই। রোনালদোরা কয়টার ফ্লাইটে আসছেন, আগেই জেনে নিই। বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত তাদের বাস অনুসরণ করি। রোনালদো যে হোটেলে ছিলেন, সেখানেই কক্ষ ভাড়া নিই।’

এরপর জনসন বলেন, ‘হোটেলের দোতলায় রোনালদোদের কক্ষ ছিল। হঠাৎ দেখলাম, পুরো দল ওপরতলায় আসছে। আমি দ্রুত লিফটের সামনে দাঁড়াই। লিফট খুলতেই দেখি রোনালদো আমার সামনে। তাকে দেখে আমি লাফিয়ে উঠি। আমাকে দেখার পর রোনালদোর অভিব্যক্তি বিদঘুটে ছিল। তবে তিনি আমার বেশ কয়েকটি জার্সিতে স্বাক্ষর করেছেন।’

এদিকে মেসি যখন বার্সেলোনাতে খেলতেন, তখন একই সঙ্গে মেসি, সুয়ারেজ ও নেইমারের স্বাক্ষর নিয়েছিলেন জনসন। জাল ফ্লাইট বুকিং করে বার্সেলোনার প্লেনে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই স্বাক্ষর নেন মেসির। কাতার বিশ্বকাপের পর মেসির জার্সির কদর আরও বেড়ে যাওয়ায় এখন জনসনের ওয়েবসাইটে তার স্বাক্ষরিত জার্সি নেই। ‘ফার্মা স্টিলা’ নামক ওয়েবসাইটে এই স্বাক্ষরিত জার্সি ও স্মারকচিহ্নগুলো বিক্রি করেন জনসন।

সর্বশেষ খবর