বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত কিছু ব্যবসায়ী ফুটপাতে চৌকি পেতে ব্যবসার চেষ্টা করছেন। তবে ক্রেতারা দাম কম বলছেন বলে জানান তারা।
রোববার (০৯ এপ্রিল) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। এ সময় তারা বলেন, ঈদের আগ পর্যন্ত যতটুকু পারা যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মালামাল বিক্রি চালু রাখবেন তারা। গতকাল শনিবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এ কাজ শুরু করেছেন।
তবে ফুটপাতে বসার কারণে ক্রেতারা কম দাম বলছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেক বিক্রেতা। তাই বিক্রি খুব একটা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা।
এদিন সকাল থেকে বঙ্গবাজার থেকে ভস্মীভূত মালামাল সরানোর কাজ করছে সিটি করপোরেশন। তবে সেটি সরাতে বেশকিছুটা সময় লাগছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব বঙ্গবাজারে আবারও বসার সুযোগ চান তারা।
এদিকে গতকাল সব ব্যবসায়ীর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে তালিকা তৈরি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে দোকান মালিক সমিতি ও জেলা প্রশাসন। দোকান মালিক সমিতি সভাপতি হেলাল উদ্দিন বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সহায়তা তহবিল, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ০২০০০৯৪০৬৬০৩১ আইএফসি ব্যাংকের এ নম্বর জানিয়ে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ জানান।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে একে একে ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। উদ্ধারকাজ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমান-বিজিবি, আনসার ও পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবার চেষ্টায় বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর। আর পুরোপুরি আগুন নেভাতে ৭৫ ঘণ্টা পর অর্থাৎ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টায়। বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনায় আনুমানিক দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।