ভারতে সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেই জাতীয় নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে নানাভাবে উত্তর প্রদেশের মুসলিমদের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। তারই ধারাবাহিকতায় উত্তর প্রদেশে বিজেপির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় কাওয়ালি অনুষ্ঠানের। শনিবার (৮ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভাগের সদস্য সৈয়দ এহতেশাম উল হুদা বলেন, ‘আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘সুফি সংবাদ মহা অভিযান’ নামে প্রচারাভিযান চালাবে বিজেপি। মুসলিম পণ্ডিত ও জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছি।’
সৈয়দ এহতেশাম উল হুদা আরও বলেন, প্রচারাভিযানে বিজেপির মুসলিম নেতারা দরগা পরিদর্শন করবেন এবং কাওয়ালি আয়োজনে সহায়তা করবেন। কাওয়ালির মাধ্যমে মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিজেপি সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভাগ গোটা দেশে সুফি সংলাপের এমন আয়োজন করবে। উত্তর প্রদেশের প্রতিটি শহরের দরগায় এই কাওয়ালির আয়োজন করা হবে। এরই মধ্যে দরগা ও খাদেমদের তালিকা করা হচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও কাওয়ালির আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান সৈয়দ এহতেশাম উল হুদা।
পশ্চিম উত্তর প্রদেশে মুসলিম জাঠ, মুসলিম রাজপুত, মুসলিম গুর্জর ও মুসলিম ত্যাগী সম্প্রদায়ের বিপুলসংখ্যক ভোটার রয়েছে। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রেই মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা গড়ে আড়াই লাখ।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের নাগিনা, আমরোহা, বিজনর ও সাহারানপুরে জয়লাভ করে বহুজন সমাজ পার্টি। মোরাদাবাদ ও সাম্ভালে জয়লাভ করে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা। হারানো আসনগুলো ফিরে পেতে ব্যাপক কৌশল তৈরি করছে বিজেপি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে প্রচারাভিযান সামগ্রিক কৌশলেরই একটি অংশ।