পরিবারে ভাই-বোনের লড়াই-ঝগড়া বোধহয় সব দেশেই অতি সাধারণ ঘটনা। ভারতের মধ্য প্রদেশের ভিন্দ জেলার এক পরিবারে দুই ভাই-বোন ঝগড়ার বিষয়টি হয়তো সাধারণ ঝগড়া হিসেবেই বিবেচিত হতো। কিন্তু রাগের বশে কিশোরী বোন আস্ত একটি মুঠোফোনই গিলে ফেলে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মুঠোফোন গিলে ফেলার পরই বাঁধে বিপত্তি। কিশোরীর পরিবারে সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেট থেকে মুঠোফোনটি বের করে আনেন।
ওই কিশোরীর বাড়ি ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিন্দ জেলায়। সম্প্রতি রাগের চোটে নিজের মাল্টিমিডিয়া মুঠোফোন গিলে ফেলে সে। এর পর তার পরিবার তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি গুরুতর বিবেচনায় সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে গোয়ালিয়র হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
সেখানকার এক চিকিৎসক বলেন, ‘দুই ভাইবোনের ঝগড়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কিশোরীটি মুঠোফোন গিলে ফেলে।’ ওই চিকিৎসক আরও জানান, ফোনটি গিলে ফেলার পরপরই কিশোরীটি পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তার পরিবার নিকটবর্তী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে গোয়ালিয়রের জয়আরোগ্য হাসপাতালে পাঠান।
গোয়ালিয়রের জয়আরোগ্য হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দেখতে পান, ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর পাকস্থলীতে একটি মুঠোফোন। এরপর সেটি বের করার জন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এক ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পর পাকস্থলী থেকে মুঠোফোনটি বের করেন। ওই হাসপাতালে এমন অস্ত্রোপচার আগে কখনোই হয়নি বলে জানান চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের প্রধান আর কে এস ধাকাড় বলেন, ‘ভালো হয়েছে যে, ভিন্দ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কিশোরীকে দ্রুতই গোয়ালিয়রে পাঠিয়েছেন। এখানকার চিকিৎসকেরা একটি অস্ত্রোপচার করে মুঠোফোনটি তার পাকস্থলী থেকে বের করেন। কিশোরীটি এখন সুস্থ আছে।’
চিকিৎসকদের ত্বরিত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে হাসপাতালটির প্রধান আরও বলেন, ‘এ কারণে আমরা মেয়েটিকে রক্ষা করতে পেরেছি। চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এটা সেই চিকিৎসকদেরও অর্জন, যারা রোগীকে সময়মত গোয়ালিয়র হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেছিলেন।’