বিচারব্যবস্থা সংস্কার আইন সংশোধনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল। সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার জেরে দেয়া কড়া নিরাপত্তাহীনতার তোয়াক্কা না করেই শনিবার (৮ এপ্রিল) তেল আবিবের রাস্তায় নামেন হাজার হাজার ইসরাইলি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরাইলের বিচার ব্যবস্থা সংস্কার আইন সংশোধন বিরোধী বিক্ষোভ। তারই জেরে শনিবারও রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিও করেন তারা। পুলিশের সঙ্গে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনাও।
আন্দোলনের জোর এতোটাই তীব্র যে কড়া নিরাপত্তা তোয়াক্কা না করেই রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, নিরাপত্তা এবং সংস্কার দুটি আলাদা বিষয়। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।
২৬ বছর বয়সী তরুণ আমিতাই গিনসবার্গ বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণে অনেকেই আমাদের এখানে আসতে নিষেধ করেছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে সন্ত্রাসী হামলার কথা শুনেছি। আমাদের সমস্যাটি রাজনৈতিক। নিরাপত্তা এবং সংস্কার দুটি আলাদা বিষয়।’
আমিতাই গিনসবার্গ আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার আশঙ্কা থাকার পরও আমরা এখানে আসতে চাচ্ছি এবং পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিতে চাই যে, আমরা এই সংস্কার আইন পাশ হতে দেব না।’
ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গত ২৯ ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসেন কট্টর ডানপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেন তিনি। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশটির বাসিন্দারা।
পরে জনরোষের কারণে পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যার কারণে দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথারও কোনো মূল্য দেননি নেতানিয়াহু। তোপের মুখে পড়ে সংস্কারের পরিকল্পনাটি সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।