করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার তিন বছর পর ভাইরাসটির উৎস নিয়ে একটি নতুন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনা গবেষকদের একটি দল। খবর বিবিসির।
করোনার উৎস সন্ধানে হুনান সামুদ্রিক খাবার এবং বন্যপ্রাণীর বাজারের কথাই মূলত শোনা গেছে। কিন্তু ২০২০ সালে ওই বাজার থেকে সংগ্রহ করা জৈবিক আলামত বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত এটিই প্রথম পিয়ার রিভিউ (অন্য বিজ্ঞানীকে দিয়ে মূল্যায়ন করানো) করা গবেষণা প্রতিবেদন।
উহান শহরের এই বাজারটিতে সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর পাশাপাশি বন থেকে ধরে আনা বিভিন্ন প্রানী জীবন্ত বা কেটে মাংস হিসেবে বিক্রি করা হতো।
নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে বাজারে বিক্রি হওয়া প্রাণীর সঙ্গে ভাইরাসটির সংযোগ কী, তা দেখানো হয়েছে। কীভাবে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছিল, তা জানতে বিভিন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন প্রতিবেদনটি দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নমুনায় করোনাভাইরাস ইতিবাচক ছিল সেগুলোতে বন্যপ্রাণীর জেনেটিক উপাদান রয়েছে। কোনো কোনো বিজ্ঞানী বলেছেন, করোনাভাইরাস যে প্রাথমিকভাবে একটি সংক্রমিত পশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে, এই গবেষণা প্রতিবেদনে তা আবারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে অন্যরা গবেষণার ফল ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া নমুনার মধ্যে জেনেটিক বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে কেন তিন বছর লেগেছিল তাও স্পষ্ট নয়।
ভাইরাসটি দুর্ঘটনাক্রমে উহানের একটি পরীক্ষাগার থেকে ফাঁস হয়েছিল বলে আরেক তত্ত্বও শোনা যায়।
নতুন গবেষণা প্রতিবেদনটি ওইসব নমুমায় থাকা উপকরণ নিয়ে নেচার সাময়িকীতে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গবেষকদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যপ্রাণী বিক্রি হচ্ছিল এমন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা কিছু নমুনায় ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব প্রাণী থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় বলে সন্দেহ করা হয়, বিশেষ করে র্যাকুন কুকুরের মতো প্রাণী ওইসব জায়গায় জীবন্ত বিক্রি হচ্ছিল।
তবে কীভাবে কোভিডের প্রাদুর্ভাবের শুরু হলো সে ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাননি। প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা দিয়ে প্রমাণ করা যায় না, এসব প্রাণী আক্রান্ত ছিল।