Homeআন্তর্জাতিকভারত-চীন সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাহাদুরি’

ভারত-চীন সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাহাদুরি’

ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে এবার মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র। অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। একইসঙ্গে পুনরায় নামকরণসহ ভূখণ্ডটি দখলে চীনের যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে বাইডেন প্রশাসন। বেইজিংয়ের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সবসময় নয়া দিল্লির পক্ষে থাকার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত ইস্যুতে বিরোধ চলছে ভারত ও চীনের মধ্যে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়ে হঠাৎ করেই নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সোমবার (৩ এপ্রিল) অরুণাচল প্রদেশের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ওই এলাকাগুলো দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলেও দাবি করা হয়। এমনকি অরুণাচলের রাজধানী ইটানগরের কাছাকাছি একটি শহরের নামও পরিবর্তন করে বেইজিং। 

তাৎক্ষণিকভাবে চীনের এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে ভারত। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আসে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায় থেকে। এর মধ্যেই চীন-ভারত উত্তেজনায় সামিল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন পিয়েরে বলেন, অনেক আগে থেকেই অরুণাচলকে ভারতের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।  

বাইডেন প্রশাসন পুনরায় নামকরণসহ ভূখণ্ডটি দখলে চীনের যেকোনো প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধীতা করছে বলেও জানান তিনি। জিন পিয়েরে আরো বলেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সবসময় নয়া দিল্লির পক্ষে থাকবে ওয়াশিংটন।

চীন ও ভারতের ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। এটিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বলা হয়ে থাকে। অরুণাচল প্রদেশকে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চীন। ২০১৭ সালে প্রদেশটির ৬টি আর ২০২১ সালে ১৫টি অঞ্চলের চীনা নামকরণ করে বেইজিং। দু’বারই ভারত সরকারের তীব্র বিরোধিতায় সেই চেষ্টা বিফলে যায়।

Exit mobile version