রমজানের রোজা ভাঙতে অস্বীকৃতি জাননোর কারণে নতেঁ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তে হয়েছে ক্লাবটির আলজেরিয়ান ডিফেন্ডার জাউয়েন হাদজামকে। রোববার (২ এপ্রিল) রেমসের বিপক্ষে লিগ ওয়ানের ম্যাচে তাকে না রেখেই স্কোয়াডে ঘোষণা করেছেন কোচ এন্তোহান কম্বুয়াহে।
চলছে মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে-রমজান। বিশ্বে প্রায় সব ধর্মপ্রাণ মুসলিমই এ মাসকে অনেক গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। সবাই আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে এ মাসে সিয়াম সাধনা করে। ভিন্ন নয় মুসলিম ফুটবলারও। তবে, এবার এ সিয়াম সাধনা করতে গিয়েই বিপাকে পড়তে হয়েছে নঁতের ডিফেন্ডার জাউয়েন হাদজামকে।
রোজা রেখে ফুটবল খেলা নতুন কিছু নয়। মেসুত ওজিল, সাদিও মানে, মোহাম্মদ সালাহর মতো তারকা ফুটবলারাও রোজা রেখে ফুটবল খেলেছেন। এমনকি বেশ কিছু স্প্যানিশ ক্লাবও মুসলিম ফুটবলারদের এ বিষয়টাকে অনেক সম্মানের সঙ্গে দেখে। এছাড়া, চেলসির মতো ক্লাবতো রমজান মাসে মাঠে সবার জন্য ইফতারের আয়োজনও করেছে। তবে, সবার থেকে ব্যতিক্রম লিগ ওয়ানের দল নঁতে এফসি।
রেমসের বিপক্ষে লিগ ওয়ানে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে নতেঁ এফসি। এ ম্যাচের আগের দিনই অবশ্য স্কোয়াড ঘোষণা দিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি। তবে, সেই স্কোয়াডে ছিল না দলে অন্যতম সেরা ফুটবলার জাউয়েন হাদজাম। তারপর থেকেই সমর্থকদের মধ্যে প্রশ্ন জেঁকে বসে দলে কেনো রাখা হয়নি এ ফুটবলারকে।
সংবাদ মাধ্যম ওয়েস্ট-ফ্রান্স বলছে, আগের ম্যাচে হাদজামকে খাবার ও পানি পান করতে বলেছিলেন কোচ এন্তোহান কম্বুয়াহে। তবে, রোজা থাকায় তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এ ম্যাচেও রোজা রেখে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি, যার জন্যই স্কোয়াডে রাখা হয়নি তকে। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বুঝিয়েছেন কোচ।
নতেঁর কোচ এন্তোহান কম্বুয়াহে বলেন, ‘আমার খুব সহজ নিয়ম আছে। খেলোয়াড়দের রোজা রাখাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে, ম্যাচের দিন এটা নিষিদ্ধ। যারা ম্যাচের দিন রোজা রাখবেন তারা ঘরে থাকবেন। আমি খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেব না। সাধারণত আপনি যখন সারাদিন না খেয়ে থাকবেন তখন আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এটা ম্যাচে প্রভাব ফেলবে।’
২০২০ সালে ফ্রান্সের অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছিলেন হাদজাম। তবে দেশ বদলে ফেলে এখন আলজেরিয়ার হয়ে খেলবেন তিনি। এ বছরেই প্যারিস এফসি ক্লাব ছেড়ে নঁতে যোগ দেন তিনি।