রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দুই শতাধিক অ্যাথলেট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কিয়েভ। পাশাপাশি রুশ হামলায় ইউক্রেনের তিন শতাধিক ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এতে ক্রীড়া জগতে রাশিয়াকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন ইউক্রেনের ক্রীড়ামন্ত্রী ভাদিম হুতসাইত।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ব্যাপক প্রাণহানি হয় কিয়েভে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহু ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যুর মিছিল থেকে বাদ যাননি ক্রীড়াবিদরাও।
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ তাদের দেশকে রক্ষার জন্য স্বেচ্ছায় অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। প্রায় ১৩ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে দুই শতাধিক অ্যাথলেট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কিয়েভ।
রোববার (২ এপ্রিল) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জিমন্যাস্টিকসের সফররত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ক্রীড়াবিদদের প্রাণহানি ও ক্রীড়া অবকাঠামোতে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে ধরেন ইউক্রেনের ক্রীড়ামন্ত্রী ভাদিম হুতসাইত। রুশ হামলায় ইউক্রেনের ৩৬৩টি ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
এ অবস্থায় রাশিয়ার কোনও ক্রীড়াবিদকে অলিম্পিক বা অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া উচিত নয় বলে জানান ভাদিম হুতসাইত। রাশিয়ার ক্রীড়াবিদরা এই যুদ্ধকে সমর্থন করে বলে তার দাবি।
গণমাধ্যম বলছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় রাশিয়ান এবং বেলারুশিয়ান ক্রীড়াবিদদের ধীরে ধীরে ফিরে আসার সুযোগ দেয়ার সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। তবে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকে রুশ ও বেলারুশের অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সংস্থাটি।
এর আগে গত ৩১ মার্চ রুশ ক্রীড়িবদদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামানো হলে ২০২৪ সালের গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জনের ইভেন্টে ইউক্রেনীয় ক্রীড়াবিদদের অংশ নিতে দেয়া হবে না বলে জানায় কিয়েভ। ইউক্রেনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে আইওসি।