এবারের আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৫০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে মুস্তাফিজুর রহমানদের দিল্লি ক্যাপিটালস। বড় ব্যবধানে হারের এ দায় দিল্লির কোচ রিকি পন্টিং দিয়েছেন বোলিং ও ফিল্ডিং বিভাগের উপর। তড়িঘড়ি করে ভারত গেলেও এ ম্যাচে দিল্লি একাদশে ছিলেন না ফিজ।
অটল বিহারী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করা লখনৌ পাওয়ার প্লে শেষে এক উইকেটের বিনিময়ে তোলে মাত্র ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩। শেষ ১৪ ওভারে তারা নিয়েছিল ১৬৩ রান। পুরো ইনিংসে লখনৌ হাঁকায় ১৬টি ছক্কা, যেখানে চার ছিল কেবল ৫টি। এসব তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে পন্টিং বলেন, ‘১৬টি ছক্কা হজম করেছি। এর মানে বল হাতে আমরা সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ১৬টি, কিন্তা চার মাত্র ৫টি; ব্যাপারটি বিশাল। এমন হলে ম্যাচ নিজেদের দিকে ধরে রাখা কঠিন।’
অটল বিহারী স্টেডিয়ামে লখনৌর ১৯৩ রান সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ। জবাবে দিল্লি আটকে যায় ১৪৩ রানে। দিল্লির বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে লখনৌ যে বেশি রান তুলেছে, তা উঠে এসেছে রিকির বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘সত্য কথা বলতে পাঞ্জাব প্রত্যাশার চেয়েও বেশি রান পেয়েছে। আমরা মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। প্রথম চার ওভারের পর ফিল্ডিং সত্যিই জঘন্য ছিল। দুই-একটি সুযোগ মিস করেছি। মিসফিল্ড হয়েছে। কাইল মেয়ার্সের ক্যাচ মিস করার খেসারত দিতে হয়েছে।’
১৪ রানে ব্যাট করতে থাকার সময় ক্যাচ তুলেছিলেন মেয়ার্স। কিন্তু তার ক্যাচ ফেলে দেন চেতন সাকারিয়া। পরে ব্যাটিং ঝড় তোলেন ক্যারিবীয়ান ব্যাটার। পন্টিং বলেন, ‘ও (মেয়ার্স) সুযোগ কাজে লাগায় এবং জীবন পাওয়ার পর থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছে। স্পিনারদের মেরেছে, এটা আমাদের জন্য ভালো শিক্ষা ছিল। আমরা জানি যে, মাঠে আমাদের আরও ক্ষুরধার হতে হবে। সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না এবং সেটা করলে, তার মূল্য চোকাতে হবে।’
পন্টিং লখনৌর পেসার মার্ক উডেরও প্রশংসা করেন। মার্ক উড পাঁচ উইকেট নিয়ে দিল্লির ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান। পন্টিং বলেন, ‘মার্ক উড অসাধারণ ছিল। আমরা জানি যে, ও দৌড়ে এসে দ্রুত বল করবে। বাউন্সার ব্যবহার তো করবেই। সেটাই ও করেছে। ও বিশ্বমানের খেলোয়াড়। টুর্নামেন্টের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ও যদি ফিট থাকে, তবে আরও কিছু ভালো স্পেল দেখা যাবে।’