সম্প্রতি ২০১৯ সালে দায়ের করা এক মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এবার রাহুল গান্ধী গুজরাটের সুরাটের সেই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩ এপ্রিল) রাহুল গান্ধী সুরাটের দায়রা আদালতে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবেন। এরই মধ্যে তিনি এই বিষয়ে একটি আবেদন করেছেন।
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি তার আবেদনে দায়রা আদালতকে মানহানির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বাতিল করতে বলেছেন এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়েছেন।
সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়ার সময় তার ৩০ দিনের জামিন মঞ্জুর এবং এ সময়ের মধ্যে তার দণ্ড স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা রায়ের সেই অংশ আমলে না নিয়েই রায়ের পরদিনই রাহুলের সদস্যপদ বাতিল করে। কংগ্রেস নেতারা লোকসভার এমন তড়িৎ প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উচ্চ আদালতে যদি রাহুল গান্ধীর কারাদণ্ডাদেশ স্থগিত না হয় তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন রাহুলের নির্বাচনী আসন কেরালার ওয়ানাদে নতুন করে নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করতে পারবে। এবং তেমনটা হলে ভারতের আইন অনুসারে রাহুল গান্ধী পরবর্তী আট বছর কোনো ধরনের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে, ২০১৯ সালে কেরালায় লোকসভা নির্বাচনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপনাম ‘মোদি’ নিয়ে কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘সব চোরের নামের শেষে কেন মোদি?’ রাহুলের সেই মন্তব্যের পর বিজেপির বিধায়ক এবং গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি রাহুলে বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন।