আন্তর্জাতিক বিরতি কাটিয়ে নিজের ক্লাবে ফিরেছেন পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি আরবে ফেরার পর আল নাসর তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
ইউরো বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলতে দেশের জার্সি পরেছিলেন রোনালদো। এরমধ্যে একটি ম্যাচ ছিল লিখটেনস্টেইন ও অন্যটি লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে। দুই ম্যাচেই দুটি করে গোল করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে গড়েন অনন্য রেকর্ডও। লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি হন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার। এ কারণেই মূলত তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে আল নাসর।
লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে রোনালদো খেলেছিলেন ১৯৬ ম্যাচ। আবার পর্তুগালের জার্সি গায়ে চাপিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। রোনালদো হন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা তারকা। লিখটেনস্টেইন ম্যাচ দিয়ে ১৯৭তম ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে মাঠে নামায় সংখ্যাটি এখন ১৯৮। ১৯৬ ম্যাচে খেলেছেন কুয়েতের বাদার আল মুতাওয়া। রেকর্ডের ম্যাচে জোড়া গোল করেন রোনালদো, যার একটি ছিল ফ্রি-কিক থেকে। তাতে লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের বড় জয় পায় পর্তুগাল।
অনন্য এই রেকর্ডের পর সৌদি আরবে ফিরেই ক্লাবের সংবর্ধনায় সিক্ত রোনালদো। তার এই স্মরণীয় মুহূর্তকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে কেক কেটে উদ্যাপন করেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটি। রোনালদো ও কেকসমেত একটি ছবিও টুইটারে শেয়ার করেছে নাসর। যার ক্যাপশন ছিল, ‘ইতিহাস গড়ায় আমাদের উদ্যাপন’।
সংবর্ধনা পাওয়ার বিষয়টি রোনালদো নিজেও তার টুইটারে জানিয়েছেন। পাশাপাশি কেক কাটার মুহূর্তের কয়েকটি ছবিও যুক্ত করে দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ফুটবলার। ওই পোস্টে সতীর্থ আবদুলরহমান ঘারিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান রোনালদো। তিনি লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমার সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অর্জনকে উদ্যাপন করার জন্য আল নাসর ও সতীর্থদের ধন্যবাদ। এ. ঘারিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও।’
২০০৩ সালে প্রথম দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। তার সেই যাত্রা অব্যাহত আছে ২০২৩ সালেও। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটিও তার দখলে। ১৯৮ ম্যাচে তিনি করেছেন ১২২ গোল। ১০৯ গোল নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইরানের আলি দায়ী।