Homeজেলারাষ্ট্র বিজ্ঞান পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

রাষ্ট্র বিজ্ঞান পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়, (নওগাঁ)।।
 
রাষ্ট্র বিজ্ঞান পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর আত্রাই সিংসাড়া কছির উদ্দিন দেওয়ান মেমোরিয়াল হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষ মো.ফরিদুল ইসলাম রতন কয়েক বছর আগে টাকা নিলেও এখন পর্যন্ত চাকরি দেননি বলে অভিযোগ করেছেন মো. নাজমুল হক সুমন নামের এক যুবক।
 
মো.নাজমুল হক সুমন কলেজের পাশের দমদমা গ্রামের ঐ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক মৃত এডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে।
 
অভিযোগ সূত্রে ও ভুক্তভোগী নাজমুল হক সুমন জানান,বাবার চাকুরির মেয়াদ শেষ হবার আগে আমার বাবা মৃত্যু বরণ করে।পুরো সাংসারিক দায়িত্ব আমার উপর এসে পড়ে।সেই মুহূর্তে ২৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে অধ্যক্ষ মো.ফরিদুল ইসলাম রতন বাবার মৃত্যুর সমবেদনা জানাতে গিয়ে শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে বাবার পদে আমাকে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আমার কাছে থেকে এক একর জমি বিক্রিয় করা দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেই। যার বর্তমান মূল্য ত্রিশ লক্ষ টাকা। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে অধ্যক্ষ টালবাহানা শুরু করেন।পরে এবিষয়ে একাধিক বার বললেও দেব দিচ্ছি বলে সময় নেয়। এ ব্যপারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো.আক্কাছ আলী সহ এলাকাবাসিকে অতিবাহিত করি।
 
কোন  উপায় না পেয়ে আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি,অভিযোগের কপি, শিক্ষা মন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার দৃঃআঃ মন্ত্রীর একান্ত সচিব।সংসদ সদস্য নওগাঁ-৬।চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী। জেলা প্রশাসক নওগাঁ এবং জেলা শিক্ষা অফিস নওগাঁতে পাঠানো হয়েছে। 
 
এমন আরো ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ না থাকলেও মৌখিক অভিযোগ অনেক ভয়েস রেকর্ড আছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো.আক্কাছ আলী বলেন,আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এ বিষয়ে একটু শুনেছিলাম।লিখিত কোন অভিযোগ না থাকায় কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি।
 
সিংসাড়া কছির উদ্দিন দেওয়ান মেমোরিয়াল হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো.ফরিদুল ইসলাম রতন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয়ে তিনি ফোন রেখে দেন।
 
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.তারেকুর রহমান সরকার বলেন,  এমন অভিযোগ আমরা থানায় সে ভাবে  আমলে নেওয়া যায় না।তবুও নিয়েছি মানবিক দিক বিবেচনা করে। তবে কোর্টের পারমিশন ছাড়া এখানে আমাদের তেমন কিছু করার নেই।

সর্বশেষ খবর