চীনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মার্চ) নিউইয়র্কে পৌঁছান তিনি। খবর বিবিসির।
মধ্য আমেরিকায় ১০ দিনের সফরের যাত্রাবিরতিতে স্বল্প সময়ের এ সফরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ছাড়াও কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের।
এদিকে তাইপের প্রেসিডেন্টের এ সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি যদি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন তবে যুক্তরাষ্ট্রকে এর কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সফরের শুরুতেই হুমকি দেয় দেশটি। এমনকি তাদের এ সাক্ষাৎ এক চীন নীতিকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করবে বলেও জানায় বেইজিং।
তবে, তাইপের প্রেসিডেন্টের এ সফর ঘিরে অযথা উত্তেজনা তৈরি না করার এবং অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি। পাশাপাশি সাইয়ের এ সফরে ‘এক চীন নীতি’ লঙ্ঘন হবে না বলেও জানান তিনি।
জন কিরবি বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মতবিরোধ থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ববাবরই আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, সাই ইয়ং ওয়েনের এ সফর অত্যন্ত স্বাভাবিক। এর আগেও এ ধরনের সফর হয়েছে। তাই এবারও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কিছু নেই। বেইজিংকে অবশ্যই কথা বলতে দেয়া হবে। আমি স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির পক্ষ নিয়ে কথা বলছি না। তাই চীনাদের এ বিষয়ে অতিরিক্তি প্রতিক্রিয়া দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই।
এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এ সফর ঘিরে তাইপেতে বিক্ষোভ করেছে চীনপন্থি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন সংগঠন। তাদের দাবি, স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন সাই।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তাইওয়ানের নাগরিকদের চীনা শত্রুতে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তাইপে সরকার।