বলিউডে কাজ পাওয়া বা করা নিয়ে রাজনীতির শিকার হয়ে সেই কাজ হারানো খবর নতুন নয়। তবে এ নিয়ে এত দিন প্রথম সারির কোনো অভিনয়শিল্পীরা মুখ না খুললেও সম্প্রতি বলিউড রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তিনি জানান কীভাবে রাজনীতির শিকার হয়ে তাকে কাজ হারাতে হয়েছিল। তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছিল বলিউডের একাংশ। এবার এমনই বলিপাড়ার রাজনীতি নিয়ে ভাইরাল হয়েছে ভাইরাল ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের পুরনো একটি সাক্ষাৎকার।
ঐশ্বরিয়া রায়ের সেই ভিডিও বেশ পুরনো হলেও সেটা নিয়েই এখন সরগরম হয়ে উঠেছে বলিউড। ভিডিওতে দেখা যায় আগের এক সাক্ষাৎকারে এসে ঐশ্বরিয়া বলেন, কীভাবে রাতারাতি একের পর এক সিনেমা হাতছাড়া হয়ে যায় বলিউডের নোংরা রাজনীতির কারণে।
সেখানে উপস্থাপিকা শাহরুখের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তোমাদের একসঙ্গে পাঁচটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল, তাই না অ্যাশ? বীর জারা তোমার জন্যই তো লেখা হয়েছিল।’ যাতে ঐশ্বরিয়া জবাব দেন, ‘আমার সঙ্গে কয়েকটি সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই সেগুলো হচ্ছে না। কেন, সেই উত্তর আমার কাছে কখনোই ছিল না।’
এরপর উপস্থাপিকা আবারও প্রশ্ন করেন ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কি তার ছিল? তাতে অভিনেত্রীর জবাব, ‘না এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না’। সঙ্গে জানান, এ রকম ঘটনা শুধু যে তাকে বিস্মিত বা বিভ্রান্ত করেছিল তা নয়, বড় আঘাতও পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘এই অভিজ্ঞতা কি বলিউডে কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে?’
জবাবে অ্যাশ বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আপনাকে আরও সচেতন করে দেয়। বুঝিয়ে দেয় এখানে লোকজন অন্য মানুষ বা প্রোজেক্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠল যে আমার সঙ্গেও এ রকম কিছু হতে পারে…। আপনার সব বক্স অফিস সাফল্য বা ইন্ডাস্ট্রিতে ‘নিরাপদ অবস্থান’ থাকা সত্ত্বেও।’
প্রসঙ্গত, ঐশ্বরিয়া এবং শাহরুখের চলতে চলতে, কাল হো না হো এবং বীর জারাসহ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল। উপস্থাপিকা এ বিষয়ে ঐশ্বরিয়ার কাছে জানতে চান, তিনি শাহরুখকে এই ব্যাপারে কখনও প্রশ্ন করেছেন কি না।
এতে জবাব আসে, ‘এটা আমার স্বভাবের মধ্যে নেই। যদি একজন ব্যক্তি তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন, তবে করবেন। যদি তারা কখনও না করেন সেটাও তাদেরই ইচ্ছে। সুতরাং, কী এবং কেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা আমার স্বভাবের মধ্যে নেই।’
ধারণা করা হয় সালমান খানের সঙ্গে ব্রেকআপের কারণেই তখন অ্যাশের হাত থেকে এসব প্রোজেক্ট বেরিয়ে যায়। এদিকে ২০০৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘কাউকে নিয়ে কোনও প্রোজেক্ট শুরু করা এবং কোনও কারণ ছাড়াই তাকে বাদ দেয়া কখনোই খুব সোজা সিদ্ধান্ত নয়। এটা খুব দুঃখজনক, কারণ অ্যাশ আমার ভালো বন্ধু। প্রযোজক হিসেবে ওটাই তখন ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।