Homeজেলামন্দিরের উন্নয়ন কথা বলে জোর পূর্বক দোকানদার ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ...

মন্দিরের উন্নয়ন কথা বলে জোর পূর্বক দোকানদার ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ ( নীলফামারী) প্রতিনিধি।।
 
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১ নং বড়ভিটা ইউপিতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী অন্নপূর্ণা উদযাপন পূজা হয় দীর্ঘদিন থেকে যা, মেলাবর টটুয়ার বারনি নামে পরিচিত। 
 
মেলায় মন্দিরের উন্নয়ন কল্পে মেলা কমিটি নিজেরাই রশিদ তৈরি করে তা তৃতীয় পক্ষের লোকের কাছে দিয়ে জোর পূর্বক দোকানদারদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
 
যেখানে মেলা সরকারী ভাবে কোন ডাক দেওয়া হয়নি বা কোন ইজারা দেওয়াও হয়নি। সেখানে কমিটির লোকেরা নিজেরাই রশিদ তৈরি করে অন্যায় ভাবে দোকানদার ও ক্রতাদের কাছ থেকে মেলায় বিভিন্ন ধরনের কাঠের আসবাব পত্র কিনতে আসা সাধারণ জনগনের কাছ থেকে জোর পূর্বক টাকা আদায় করেছে। তাও আবার মেলা কমিটি নয় তারা আবার বিভিন্ন জনের কাছে টাকা নিয়ে যেমন, কাঠের তৈরি আসবাব পত্র, লোহার তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম, হোটেল, ছোট বাচ্চাদের খেলনার দোকান, সহ এমন কি পানের দোকান দারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।
 
মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক প্রভাশ চন্দ্র ও ক্যাশিয়ার পদে রয়েছেন প্রদীব নামের এক নব নিয়োগ প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, এ বিষয়ে মেলা উদযাপন কমিটির সাথে কথা বললে তারা টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন হ্যা আমরা মন্দিরের উন্নায়নের জন্য এটা করেছি।
 
সরজমিনে দেখা যায়, কাঠের তৈরি আসবাব পত্র মেলায় যেখানে বিক্রি হচ্ছে সেখানে পরিমল নামের এক ব্যক্তি অর্থ আদায় করছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি কমিটির লোকদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে এই কাটের আসবাব পত্রের এলাকাটি কিনে নিয়েছি। তাই তারা আমাকে রশিদ দিয়েছে তাই দিয়ে আমি টাকা আদায় করছি। এভাবে আরো খোঁজ খবর নিয়ে যানা যায়, বিভিন্ন দোকানের কাছে এভাবে মেলা উদযাপন কমিটি বেশ কিছু লোকের কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা দিয়ে মেলার বিভিন্ন স্থানের দোকান গুলি তারা তৃতীয় পক্ষের লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। 
 
এছাড়াও ছোট ছোট দোকানদারদের কাজ থেকে রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করছে।
 
কিন্তু এলাকাবাসীরা বলেন বিগত ২০২০ সাল থেকে এ মেলা সরকারী ভাবে কোন ডাক হয় না। তবে কমিটির লেকেরা এভাবে অর্থ আদায় করে আৎসাত করে, নিজেদের পকেট ভরে মেলা শেষ হলে আর কারো দেখা মেলেনা এখানে। যেমন মন্দির তেমনি রয়ে যায়। এলাকাবাসী এর সুষ্ঠ বিচার ও সমাধানের জন্য আবেদন জানায় উর্ধতন কর্তীৃপক্ষের কাছে।
 
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে- আলম – সিদ্দিকির সাথে কথা বললে, তিনি বলেন এটি সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ, আমি বিষয়টি পুলিশকে বলেছি এবং আমরা সেখানে যাব।

সর্বশেষ খবর