লিওনেল মেসিকে অনেকেই বলে থাকেন ভিনগ্রহের ফুটবলার। অনেকে তাকে বলেন ফুটবলের জাদুকর, আবার অনেকের কাছে তিনি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। এক জীবনে মেসির অর্জনগুলোর দিকে তাকালে এসব উপাধিকে অবশ্য খুব একটা বেশি বেশি মনে হবে না।
৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বজয়ের পর চলতি মাসেই তারা নেমেছে মাঠের লড়াইয়ে। এমনই এক প্রীতি ম্যাচে গতকাল (২৯ মার্চ) কুরাসাওয়ের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ৮৬ নম্বরে নম্বরে থাকা কুরাসাও খুব একটা পরিচিত দল নয়। শক্তির বিচারেও আর্জেন্টিনার কাছে দুধভাত দক্ষিণ আমেরিকান দেশটি। অনুমিতভাবেই এমন দলকে হাসতে খেলতেই হারিয়েছে লিওনেল মেসির দল। কোনো গোল হজম না করে প্রতিপক্ষের জালে ৭ বার বল পাঠিয়েছে বিশ্বকচ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনা-কুরাসাও ম্যাচে সবচেয়ে বড় ঝড়টা গেছে কুরাসাওয়ের গোলরক্ষক ইলয় রোমের ওপর। খেলার শুরু থেকেই চাপটা ছিল তার ওপর। কারণ প্রথমার্ধেই পাঁচবার জালে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা, এর মধ্যে মেসির গোল তিনটি। শেষমেশ সাত গোলে কুরাসাওকে বিধ্বস্ত করে মেসির দল।
এতগুলো গোল হজম করেও ম্যাচের পর আনন্দিত কুরাসাও গোলরক্ষক ইলয় রোম। কারণ সাত গোল খেলেও যে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। গতকালের ম্যাচ শেষে পছন্দের তারকা মেসির সঙ্গে জার্সি বদল করেছেন তিনি।
আর আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি পেয়ে কুরাসাওয়ের এই গোলরক্ষক ভুলে গেছেন ৭ গোল হজম করার যন্ত্রণাও। বরং এই মুহূর্তটি তার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই।
ম্যাচ শেষে টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোম বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য, স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। আমরা সবাই মেসির ভক্ত। এখন আমি তার বিপক্ষে খেলেছি।
মেসির কাছ থেকে ৩ গোল হজম করলেও খুব একটা হতাশ নন কুরাসাও গোলরক্ষক। বরং কয়েকটা গোল সেভ করে মেসির কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে খুশি তিনি, ‘সময়টা কঠিন ছিল। সে (মেসি) আমার বিরুদ্ধে গোল করেছে। তবে তার কিছু শটও আমি ঠেকিয়েছি। পরে সেও আমাকে বলেছে যে আমি কিছু ভালো সেভ করেছি। এটা আমার কাছে অনেক কিছু।’