ভারতে গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবিতে মশাল মিছিল করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সমর্থকরা। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে দিল্লির লালকেল্লা থেকে শুরু হয় এই মশাল মিছিল। তবে প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দুই বছরের সাজা ও তার লোকসভার সদস্যপদ বাতিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মশাল মিছিল করে দলটির সমর্থকরা। গণতন্ত্র বাঁচাও নামে রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লায় শুরু হওয়া প্রতিবাদ মিছিলটি টাউন হল পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল।
তবে পথেই তা আটকে দেয় পুলিশ। উভয়ের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সংসদের ভেতর ও বাইরে মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা।
এর আগে পার্লামেন্টে কালো পোশাক পরে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের নিন্দা জানায় বিরোধী আইনপ্রণেতারা। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন স্পীকার। তাদের বাধার মুখে অধিবেশনের সেশন মুলতবি করা হয়।
এদিন পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। ব্যতিক্রমী প্রার্থণার আয়োজনও করা হয়। বিজেপি ও মোদি বিরোধী নানা শ্লোগান দেন তারা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে কংগ্রেস সমর্থকরা। রাহুল গান্ধীকে ভয় পেয়েই মোদি সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি তাদের।
এদিকে পার্লামেন্টের সদস্যপদ হারানোয় আগামী একমাসের মধ্যে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করতে লোকসভা থেকে পাঠানো নোটিশের উত্তর দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নির্দেশ মেনে চলার কথা জানান সোনিয়া পুত্র।